বনাঙ্কুর মুস্তাফা: ছোটবেলা থেকে কিছু কথা খুব শুনে এসেছি। মেয়েদের এতো রাগ করতে নাই, মেয়েদের একলা চলতে নাই, মেয়েদের উচ্চস্বরে কথা বলতে হয় না, মেয়েদের শার্ট-প্যান্ট পরতে হয় না। (কে বলবে যে ২০ বছর বয়স অবধি এই আমি কখনও ওই পোষাক পরতে পারিনি) এমন আরো কত কি! সবসময় দেখতাম যে বাড়ির পুরুষরা না খাওয়া পর্যন্ত নারীরা খেতেন না। আমি ভাবতাম, কেনো? মা বলতেন, এটাই নিয়ম!
আমার বয়স যখন ১৮, তখন একবার একটা বিয়ের প্রস্তাব এলো, ছেলে বিদেশ থাকে…এই ছেলেকে নাকি হাতছাড়া করা যাবে না! ছেলে থাকতো ক্যানাডাতে। তো আমার বাবা আমাকে বললেন, তোমার তো অনেক শখ বিদেশে পড়াশোনা করার। এই ছেলেকে বিয়ে করো, ওর সাথে গিয়ে ওখানে পড়তে পারবা, ও তোমাকে পড়ালেখা করাবে।

এই কথা শুনে আমার মনে হয়েছিলো লজ্জায় মারা যাবো! আমি আমার বাবাকে সেদিন বলেছিলাম, তুমি কি বলতে চাচ্ছো এই ছেলে আমার বিদেশ যাওয়ার ভিসা? আমি যদি বিদেশে পড়তে যেতে চাই, আমি নিজের চেষ্টাতেই যাবো। বিদেশ যেতে চাই বলে এই ছেলেকে বিয়ে করতে হবে এটা কেমন কথা? তাহলে তো ওখানে যাওয়ার পর ওই ছেলেকে আমার আর ভাল না-ও লাগতে পারে! তখন কী করবো?
এই কথা শুনে আমার বাবা কিছুখন হতভম্ব হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এমন ঘটনা এরপর আরো অনেক ঘটেছে। এমন অনেক প্রস্তাব এসেছে এবং আমার উত্তর ছিল একই।
আমি কিন্তু আমার কথা রেখেছি…বিদেশে পড়তে এসেছি, সেই ক্যানাডা তেই এসেছি, কিন্তু আমার একার চেষ্টায়। আমি যদিও আমার পরিবারের প্রতি কৃ্তজ্ঞ, তারা আমাকে শেষ পর্যন্ত একাই আসতে দিয়েছেন। আসলে তারা বুঝতে পেরেছিলেন যে এই মেয়ে নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কিছুই করবে না, বিশেষ করে বিয়ে! আমার প্রশ্ন হল, শুধুই সামাজিকতা রক্ষার্থে, বাবা-মা’র মুখ উজ্জ্বল করার খাতিরে, অথবা বংশের মান বাড়াতে একটা মেয়েকে কেনো তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ে করতে হবে?কেনো সে তার ইচ্ছা অনুযায়ী একটা সময় বেছে নিতে পারবে না বিয়ের জন্য যখন সে উপলব্ধি করবে যে ‘বিয়ে’ নামক এই নতুন অধ্যায় নিজের জীবনে যুক্ত করার সময় তার হয়েছে? নিক না সে পাঁচটা বছর বেশি সময়!
একজন অবিবাহিত ছেলেকে নিয়ে তো আলোচনা-সমালোচনা, গবেষণা, কটু মন্তব্য হয় না, একজন অবিবাহিত মেয়েকে নিয়ে এতো হয় কেনো? কেনো একটা মেয়ে ৩০ বছর বয়স পর্যন্ত বিয়ে না করলে তাকে শুনতে হয় যে সে আইবুড়ো হয়ে যাচ্ছে, তার আর ভাল পাত্র ‘জুটবে’ না, আর একজন ছেলে ৩৫ বছর বয়সেও বিয়ে না করলে তাকে বাহবা দিয়ে বলা হয়, সাবাস ব্যাটা, খুব ব্যাচেলর লাইফ এনজয় করছিস!
আমার তথাকথিত কিছু আত্মীয়-স্বজন আছেন যারা অতি আগ্রহী আমার জীবন-যাপনের ধারা বিশ্লেষণ করতে! তারা নাকি এমন প্রশ্ন-ও করে থাকেন আমার বাবা-মা’র কাছে, ও তো একলা থাকে, ক্যানাডার মতো দেশে কী এমন করে যে এতো দামী কাপড়-চোপড় পরে, এতো বিদেশ ঘোরে?
ভাবখানা এমন যেনো একটা মেয়ে তার আরাম-আয়েশ, শখ পূরণের ব্যবস্থা নিজে করতে পারে না, তাকে অবশ্যই কোনো না কোনো পুরুষের উপর নির্ভরশীল হতেই হবে। সে যদি নিজের যোগ্যতায় – একলা উপরে উঠতে থাকে, তাকে যদি কোনোভাবেই, কোনো বদনামেই থামানো না যায়, তাহলে বলবে, ‘বেহায়া মেয়ে’!!! অথচ ঠিক একই লাইফস্টাইল যদি একজন ছেলের হয় তাহলে বলবে, ‘সোনার ছেলে’! একলা মেয়ে মানেই আমাদের সমাজে মনে করা হয়, গণিমতের মাল। একলা মেয়ে মানেই সে হাজারটা পুরুষের সাথে ঘুমানোর জন্য তৈরী…আর এটিকেই পুঁজি করে সে তার আরাম-আয়েশের ব্যবস্থা করে! ভাবতে ঘৃণা হয়, আমাদের ভবিষ্যৎ কন্যা প্রজন্মকে আমরা একটা সুস্থ-সুন্দর সমাজ উপহার দিতে পারছি না, এমন একটা সমাজ যেখানে তাদের বস্তু হিসেবে না, ‘মেয়ে-মানুষ’ হিসেবে না, ‘মানুষ’ হিসেবে গণ্য করা হবে।
আমার খুব ভাল লাগে দেখতে যে এখন একা বাইরে পড়াশোনা করতে যাওয়া মেয়েদের সংখ্যা অনেক বাড়ছে এবং তারা অনেক উন্নতি করছে। আমাদের ঘূণেধরা নোংরা সামাজিক রীতি গুলোকে বুড়ো আংগুল দেখিয়ে প্রমাণ করছে যে আমরা পারি। নিজের পায়ে দাঁড়ানোর জন্য আমাদের কোনো পুরুষকে দরকার নাই।
আরেকটা খুব পরিচিত বক্তব্য হল, মেয়েদের এতো একলা ঘুরে-বেড়াতে নাই, মানুষ খারাপ বলে! আমার এক চাচী একবার আমাকে বললেন, তুই একা একা এতো এদিক-ওদিক ঘুরিস কেন? এটা ঠিক না। পরে বিয়ে-শাদি হতে ঝামেলা হবে। আমি খুব হেসেছিলাম। বলেছিলাম, যে ছেলে আমার আত্মনির্ভরশীলতা অথবা আমার জীবনে স্বাধীনতার গুরুত্ব দেখে আমাকে বিয়ে না করতে চায়, সে আমার জীবনসঙ্গী হওয়ার যোগ্যতা রাখে না। প্রথমত, বাঙ্গালীদের এই ‘যার বিয়ে তার খবর নাই পাড়া-পড়শীর ঘুম নাই’ স্বভাব টা বরাবরই আমার খুব বিরক্তিকর লাগে। একটা মেয়ে (বা ছেলে) কবে বিয়ে করবে, সংসার করবে, এটা তো একান্তই তার সিদ্ধান্ত, মানুষের কেন এতো মাথাব্যথা? তোমরা কি আমার ভরণ-পোষণের ভার নিয়েছো, না কি আমার সংসার সাজানোর?
কিছুদিন আগে আমার বাবার এক পরিচিত ভদ্রলোক আমাকে ফোন করে বললেন, তোমার বাবার কাছ থেকে তোমার নাম্বারটা নিলাম। তুমি না কি আমাদের বাসা থেকে খুব কাছেই থাকো? তা আসো না কেন? একা একা থাকো এভাবে, বিয়ে করতেছো না কেন? আসো, তোমার জন্য ছেলে-টেলে দেখি! রাগ সামলে কন্ঠস্বরকে সংযত রাখা আমার জন্য খুব কষ্টকর হচ্ছিল, কিন্তু তারপরও আমি চেষ্টা করলাম তার সাথে সুন্দরভাবে কথা বলতে, কারণ এই ভদ্রলোকের সাথে আমার জীবনে কখনও দেখা হয়নি (!) এবং তিনি আমার বাবার বয়সী। তাই শুধু বলেছিলাম, আমি এখন আমার ক্যারিয়ার নিয়ে ব্যস্ত আংকেল, বিয়ে করার সময় হলে অবশ্যই করবো; আপনি আমার কথা ভেবেছেন বলে ধন্যবাদ।
এটা খুব দঃখজনক যে, সুদূ্র ক্যানাডাতে এসেও, এইসব সংকীর্ণ মানসিকতার মানুষদের কাছ থেকে আমাদের রেহাই নাই; মানুষের জীবনে নাক গলানো ছাড়া এদের আর কোনো কাজ নাই; বিশেষ করে অবিবাহিত বা একা থাকে এমন মেয়ে পেলে তো কথাই নাই, তাকে নিয়ে গবেষণা করাটা তারা তাদের গুরু দায়িত্ব বলে মনে করেন!
খেয়াল করে দেখেন, এখানে যখন একটা মেয়েকে জিজ্ঞেস করা হয়, তুমি কার সাথে থাকো?- সে জবাব দেয়, আই লিভ বাই মাইসেলফ; সে বলে না, আই লিভ এ্যালোন। কারণ, বিষয়টা এমন যে, সে তো একা নাই, সে আছে তার চারপাশের সমস্ত পরিবেশ নিয়ে এবং বেশ ভাল আছে কারণ এখানকার সমাজ-ব্যবস্থা অনুযায়ী ছেলে-মেয়ে উভয়ই নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে একা নিজের মত থাকবে – এটাই স্বাভাবিক।
আপনারা আধুনিকতার ছোঁয়া পেতে দেশ ছেড়ে বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন ঠিকই কিন্তু আপনাদের মজ্জাগত সেঁকেলে ধ্যান-ধারণা সাথে নিয়ে এসেছেন!
পুরুষ শাষিত একটা পরিবারে বড়ো হয়েছি বলেই হয়তো আমার মাঝে বিদ্রোহী এক সত্ত্বার জন্ম হয়েছিল সেই ছোটবেলাতেই। প্রতিনিয়ত চোখে পড়া ওইসব ঘূণেধরা সামাজিক বিশ্বাস আর নারী-নিপীড়ণের হাতিয়ার ওই নোংরা রীতিগুলোকে চ্যালেঞ্জ করতে ভাল লাগতো আমার, এখনো লাগে!
খুব দুঃখের বিষয় হলো, আমাদের সমাজ নারীদের জন্য যে ‘জীবন-বিধান’ তৈরি করছে, তাতে আমাদের নারীরাও ব্যাপক বিশ্বাস রাখেন! এসব বিশ্বাস তাদের অস্থি-মজ্জায় এমনভাবে ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে যে তারা এগুলোকে তাদের পাপ-পূণ্যের, চরিত্রের, সুন্দর জীবনের মানদণ্ড বলে মনে করেন! গত বছর যখন দেশে গেলাম, তখনকার ঘটনা।
আমার চাচার বাড়িতে এক ভদ্রমহিলা আর আমার চাচী গল্প করছিলেন, আমাদের পাড়ার এক ১৬/১৭ বছর বয়সের মেয়েকে নিয়ে। গল্পের সারমর্ম হচ্ছে, মেয়েটিকে এক ছেলে খুব জ্বালাচ্ছিল বলে মেয়েটি সেই ছেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে। তো, গল্পরত এই দুই ভদ্রমহিলা বলছেন, দোষটা তো ওই শয়তান মেয়ের! আমি তো দেখছি, মেয়েটা ঠিকমত গায়ে ওড়না রাখে না। বুকটা বাইর কইরা রাখে। এই রকম করলে তো ছেলেরা তাকাবে, আজে বাজে কথা বলেবেই! সে তো ছেলেদের দেখানোর জন্যই ওড়না গলার সাথে ওইভাবে ঝুলায়ে রাখে!” আমি জানতাম, এই মহিলাদের সাথে এই বিষয়ে তর্ক করে কোনো লাভ নাই! এমনিতেও আমি আমার তথাকথিত আত্নীয়-স্বজনদের কাছে আমার পোষাক-আষাকের কারণে বেশ সমালোচিত।
শুধু এটুকু জিজ্ঞেস করেছিলাম, আমাদের সমাজ কি শুধুই মেয়েদের জীবন-যাপনের পদ্ধতি নির্ধারণের দায়ভার নেবে, না কি তারা তাদের ছেলেদেরও সুশিক্ষা দেবে, তাদের শেখাবে কিভাবে মেয়েদের সম্মান দেখাতে হয়, যেনো তারা বোঝে যে মেয়েরা শুধুই ভোগের বস্তু না, যেনো তারাও নিজেদের দৃষ্টিকে সংযত রাখে?
আমরা এমন এক সমাজের অংশ যেখানে যা কিছুই ঘটুক, তীর্যক আঙ্গুল মেয়েদের দিকেই তোলা হয়। “ছি ছি ছি মেয়েটা কত খারাপ। অমুকের সাথে ঘুমায়, ও তো একটা প্রস্টিটিউট”! অথচ, যে পুরুষটি ওই মেয়েটির সাথে ছিল, সে খুব সুপুরুষ! কারণ, তার তো ওই নারীকে ভোগ করার জন্মগত অধিকার আছে!
একটু আগে বলছিলাম কিভাবে প্রবাসী এক পাত্রকে বিয়ে না করায় আমার পরিবার-পরিজন হতভম্ব হয়েছিল। আমাদের দেশে এখনও অনেক বাবা-মা মনে করেন, ছেলে বিদেশ থাকে মানেই খুব যোগ্য! ছেলের পেশা কি, পড়াশোনা কতদূর, মানসিকতা কেমন- এগুলো কোনো ব্যাপার না…অথবা ছেলে হয়তো পিএইচডি করা, বা বেশ বড় চাকুরে; ব্যস, ওই ছেলের সাথেই ‘তোমাকে’ সুখী হতে হবে, যদিও তুমি মনে কর যে এর বাইরেও অনেক প্রয়োজনীয় বিষয় থাকতে পারে। যেমন, ছেলে তোমাকে তোমার নিজের ‘স্বাধীনতা’টুকু দেবে কি না, না কি তোমাকে নিয়ন্ত্রন করতে চাইবে, তার সাথে তোমার মনের মিল হলো কিনা, ইত্যাদি।
কিন্তু না। আমরা তো এমন সমাজে বাস করি যেখানে সবক্ষেত্রে মেয়েদের সাবমিশন-কেই কাংখিত এবং অবশ্য কর্তব্য বলে মনে করা হয়, যেমনটি শারমিন শামস্ তার লেখায় আলোচনা করেছিলেন কিছুদিন আগে।
ভাবতে ভাল লাগে যে আমাদের দেশ অর্থনীতি, খেলাধুলা, প্রযুক্তিতে এতো এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু যতদিন পর্যন্ত আমাদের চিন্তা-ধারার, মানসিকতার উন্নতি না হবে, যতদিন না আমরা আমাদের মেয়েদের একটা সুস্থ-সুন্দর-নিরাপদ দেশ ও সমাজ দিতে পারছি, আমরা কতটা উন্নত? খুব আক্ষেপের সাথে বলতে হচ্ছে যে, ওইসব নিচু মানসিকতাসমপন্ন, নোংরা মানুষগুলো এখানেও তাদের থাবা বাড়িয়ে বসে আছে আমাদের আঘাত করার জন্য। বাঙ্গালী বংশোদ্ভূত ক্যানাডিয়ান সিটিজেন এইসব মানুষেরা নানান প্রশ্নবাণে আর নিন্দায় আমাদের বিধ্বস্ত করতে ব্যস্ত…”এমন একটা জোয়ান মেয়ে, একলা থাকে! বিয়ে করে না কেনো? এতো রাত করে বাসায় ফেরে। এতগুলো ছেলেবন্ধু নিয়ে ঘুরে। পর্দা করে না…ছি ছি।” তাদের জন্য আমার একটাই উত্তর,”মাইন্ড ইওর ওউন বিজনেস”!
লেখা শেষ করবো সম্প্রতি আমেরিকাতে ঘটে যাওয়া এক ঘটনার উল্লেখ করে। কিম্বারলি ওয়াল্ট নামের এক ১৭ বছর বয়সী মেয়ে তার রেপিস্ট, রবার্ট উইলিয়ামস এর গোপনাঙ্গ কেটে সেটিকে মাইক্রোওয়েভে-এ গ্রীল করে বন্দুকের মুখে তাকে খেতে বাধ্য করেছে! কিম্বারলিকে এর জন্য কোনো মামলার সম্মুখীন হতে হবে না।
লেখাটি পড়ে হাততালি না দিয়ে পারলাম না!!! আমাদের দেশে প্রতিনিয়তই মেয়েরা সেক্সুয়াল এ্যাবিউজ এর শিকার হচ্ছে। কিন্তু তারা ভয়ে মুখ খোলে না কারণ তাদের শেখানো হয়, ঘটনা জানাজানি হলে তার এবং তাদের পরিবারেরই সম্মানহানি হবে। সময় এসেছে, এই শিক্ষা – এই ধারণা বদলানোর।
মেয়ে, তুমি মুখ খোলো, নিজের পায়ে দাঁড়াও, নিজের জীবনের নিয়ম নিজে তৈরি করো, চিৎকার করে সবাইকে জানাও, জীবনটা তোমার। তুমি কবে কাকে বিয়ে করবে, কি পরবে, কোথায় যাবে- এইসব নির্ধারণের অধিকার শুধুই তোমার। যে সমাজে খাদিজার মতো মেয়েরা প্রতিনিয়ত আঘাতের শিকার হচ্ছে, জীবন হারাচ্ছে, সেই সমাজকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে বলো, মাইন্ড ইওর ওউন বিজনেস!!!
Good Writeup Bonankur Mostafa
Congratulation Bonankur- onek valo likhechho, ami khub e obak hoi dhrshoner shikar meyra keno oporadhi hoy? Protibader agey meyera jodi na bolte shekhe setao onek boro poriborton anbe.- thanks for sharing.