কিমবারলি ওয়াল্ট নামের মেয়েটিকে স্যালুট। ভয়াবহ রকমের ধর্ষণের শিকার হয়ে সে যথোচিত পাল্টা প্রতিশোধ নিয়েছে। ধর্ষকের অণ্ডকোষ কেটে বন্দুকের নলের সামনে তা খেতে বাধ্য করেছে। এমনকি পুলিশের কাছে নির্দ্বিধায় স্বীকারও করেছে এই ঘটনা, আর এজন্য সামান্যতম অনুতপ্তও নয় সে, একথাটিও জানিয়ে দিয়েছে। বলা বাহুল্য, মেয়েটির কোনো শাস্তি হয়নি, উপরন্তু ওই ধর্ষককেই জেলে পোরা হয়েছে।
এই ঘটনা বেশ আলোড়ন তুলেছে যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলাইনায়। স্থানীয়রা কিমবারলিকে বাহ্বা দিচ্ছেন। বলছেন, অবশেষে তাদের মাঝে নতুন একজন ‘হিরো’কে পেয়েছেন।
জানা গেছে, নর্থ ক্যারোলাইনায় বন্ধুদের সাথে ১৭ বছর বয়সী কিমবারলি হেঁটে বাড়ি ফিরছিল। এসময় একটি গাড়ি এসে থামে কিমবারলির কাছে, জিজ্ঞ্যেস করে, সে গাড়িতে চড়তে চায় কীনা! কিমবারলি বাধা দেয়। তিন-তিনটি ঘটনায় অভিযুক্ত গাড়ির চালক রবার্ট উইলিয়াম তারপরও কিমবারলি ও তার বন্ধুদের উত্যক্ত করে। কিমবারলি তাতে ভ্রুক্ষেপ না করায় উইলিয়াম তাকে জোর করে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়, এবং নিজ বাড়িতে নিয়ে দড়ি দিয়ে বেঁধে তার ওপর নির্যাতন চালায়। একপর্যায়ে মদ্যপ উইলিয়াম নেতিয়ে পড়লে কিমবারলি কোনভাবে নিজেকে দড়ি থেকে ছাড়িয়ে নেয়, এবং তারপরেই সে সিদ্ধান্তটি নেয়।
পুলিশকে দেয়া বিবৃতিতে কিমবারলি জানায়, সে রান্নাঘর থেকে একটি ছুরি এনে ওই ধর্ষকের অণ্ডকোষ দুটি কেটে ফেলে। এসময় উইলিয়াম চিৎকার করতে শুরু করে। তখন অণ্ডকোষ দুটি কিমবারলি মাইক্রোওয়েভে ছুঁড়ে মারে। একটি প্লেট, কাঁটা চামচ এবং ধারালো ছুরি নিয়ে হট ডগের মতো করে চাক চাক করে ওগুলো কাটে। রান্নাঘরে রাখা বন্দুক এনে ধর্ষক উইলিয়ামকে নলের ডগায় রেখে বাধ্য করে নিজেরই অণ্ডকোষ খেতে। প্রাণের ভয়ে উইলিয়াম তা খায়। কিমবারলি আরও জানায় যে, এই ঘটনার জন্য মোটেও সে অনুতপ্ত নয়, বরং ওই বাস্টার্ড (উইলিয়াম) এর জন্য এটাই মোক্ষম শাস্তি।
উইলিয়ামকে প্রথমে হাসপাতালে ও পরে তাকে কাউন্টি জেলে নেয়া হয়। এই খবর শুনে স্থানীয় একজন নারী বলছিলেন, ‘আমাদের ভয়ের আর কোনো কারণ নেই যে পারভার্টরা যা খুশি তাই করে পার পেয়ে যাবে’। শিশু নিপীড়নকারী সবাইকে যদি এভাবে শাস্তি দেয়া যায়, তবে এরকম অপরাধ আর ঘটবে না বলেও তিনি মন্তব্য করেন।