উইমেন চ্যাপ্টার: আবারও অভিনন্দন আমাদের এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ নারী ফুটবলারদের। কারণ তারা তাদের প্রাপ্য ছিনিয়ে এনেছে। ফুটবল মাঠে মাত্র ১১ জনের দুরন্ত কৌশল দিয়ে তারা যেমন চ্যাম্পিয়নশিপে অপরাজিত থেকে চূড়ান্ত পর্বে ওঠার গৌরব অর্জন করেছিলেন, তেমনি এবার তাদের পাশে ছিল অনলাইন জনগোষ্ঠী, সেইসাথে সমগ্র বাংলাদেশের সচেতন সাধারণ মানুষ।
এতোবড় গৌরব অর্জনের পর ঈদের আগে তারা যেভাবে রিক্ত হাতে বাড়ি ফিরে গিয়েছিল, সবার সম্মিলিত প্রতিবাদে এবার তারাই ফিরে যাচ্ছে দুহাত ভরে নিয়ে। বাড়ি যাবার সময় সাধারণ লোকাল বাসে বখাটেদের যন্ত্রণা সইতে হয়েছিল বলে সমালোচনার বন্যা বয়ে গেছিল অনলাইন এবং অফলাইনেও। এবার তাদের আনতে আটটি গাড়ি বরাদ্দ হয়েছিল বলে শোনা যায়। কে বলে প্রতিবাদে কাজ হয় না? এটাই তো সর্বশেষ জ্বলজ্বলে উদাহরণ।
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) নারী ফুটবলারদের সংবর্ধনা দেয়ার বিষয়টি আগে থেকেই নির্ধারিত ছিল। গতকাল সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে এ সংবর্ধনা দেয়া হয়। বাফুফের পাশাপাশি পাশি এই দুর্দান্ত ফুটবলারদের জন্য আর্থিক পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছে চারটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান।
আর্থিক পুরস্কারের ঘোষণা দেওয়া প্রতিষ্ঠান চারটি হলো জেমকন গ্রুপ, সাইফ গ্লোবাল স্পোর্টস, ক্যাল্ডওয়েল ডেভলপার্স, এবং এসএস সলিউশনস।
দলের ২৩ খেলোয়াড়, হেড কোচ ও দুই সহকারী কোচের জন্য জেমকন গ্রুপ ও সাইফ গ্লোবাল স্পোর্টস ৫০ হাজার করে এক লাখ টাকা এবং ক্যাল্ডওয়েল ডেভলপার্স ২৫ হাজার টাকা আর্থিক পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছে। এছাড়া, এসএস সলিউশনস আগামী এক বছরের জন্য টাইগ্রেসদের ১০ হাজার টাকা করে মাসিক ভাতা প্রদান করার ঘোষণা দেয়।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডও অনূর্ধ্ব-১৬ নারী দলের জন্য জনপ্রতি এক লাখ টাকা আর্থিক পুরস্কার দেয়ার কথা ঘোষণা করেছে। এছাড়া, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকেও বাংলাদেশের এই উদীয়মান ফুটবলারদের সংবর্ধনা দেওয়া হবে, যেখানে দলটিকে ওয়ালটনের পক্ষ থেকে পাঁচ লাখ টাকার পুরস্কার দেওয়ার কথা রয়েছে।
আপাতদৃষ্টে মেয়েগুলোর কষ্ট-দারিদ্র্য কিছুটা ঘুচবে বলেই আশা করা যায়। যেখানে ওরা দেশের জন্য এতোবড় গৌরব বয়ে নিয়ে এলো, যা কিনা ক্রিকেটারদের চেয়ে কোন অংশেই কম কিছু না, সেখানে এই প্রাপ্তি তাদের অনেকখানিই উৎসাহিত করবে। সেইসঙ্গে দেশের অন্য মেয়েদেরও খেলায় আগ্রহী করে তুলবে বলেই দৃঢ়বিশ্বাস।
২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের চূড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠিত হবে থাইল্যান্ডে। সেখানে জাপান, চীন, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, উত্তর কোরিয়া, থাইল্যান্ড ও লাওসের সঙ্গে খেলবে বাংলাদেশের মেয়েরা।
Salute to our girls Soccer team who achieved so much with so little for this hapless country called Bangladesh.
লেখাটার জন্য ধন্যবাদ।
সম্ভব হলে, এই নারী ফুটবলারদের জন্য আরো বেশী আর্থিক পুরস্কার ব্যবস্থা করা যায় কি?
তুলনাটা করছি, আমাদের ক্রিকেটারদেরকে বিভিন্ন সময়ে দেয়া আর্থিক পুরস্কারগুলোর সাথে।