কেন বিয়ে করবেন?

জেসিকা ইরফান: এক জায়গায় কমেন্ট করতে গিয়ে আটকে গেলাম। সচরাচর কে, কয়টা বিয়ে করলো, কাকে করলো তা নিয়ে আমার কোন মাথাব্যথা নেই। যার যার জীবন তার তার। যাদের তিন নম্বর বিয়ে নিয়ে কথা তাদের আমি ভালভাবে চিনিও না, দুই একবার হাঁটতে-চলতে এখানে-ওখানে মুখটা দেখেছি, এই যা।

Jessica
জেসিকা ইরফান

হঠাৎ করে দেখলাম ঊনার তৃতীয় বিয়ের ব্যাপারে কেউ একজন সাফাই গাইছে। আমি লিখলাম, ‘বিয়েটা কি খুব জরুরি কিছু? গত দুইবার নিশ্চয়ই তিনি খুব খারাপ অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে গেছেন। তিনবার ট্রাই না করলে কি চলতো না?’

ওরে বাবা, আর যাই কোথায় বেশ ক’জন ঝাঁপিয়ে পড়লো আমার ওপর। তখন কিছু না লিখে আর উপায়ই থাকে না।

আমার জীবনটাকে আমি ভালোবাসি। সো কলড উইমেনস লিব বলতে কী বোঝায়, আমি ঠিক বুঝতে পারি না। ওদের সব কথায় সায়ও দেই না। আমার জীবন ও অভিজ্ঞতা দিয়ে শুধু এইটুকু বুঝতে পেরেছি, পুরুষরা নারীদের হাজার হাজার বৎসর ধরে হয় কুলুঙ্গির দেবী বলে পুজো করেছে, ধুপ ধুনো দিয়েছে, নয়তো কচি নধর পাঁঠার মতো কামের লোভ লালসার যূপকাষ্ঠের বলি বানিয়েছে।

আমরা নারীরাও যে মানুষ, পুরুষের সমান মানসিক শারীরিক সব ব্যাপারেই আমাদের সমান ভূমিকা , সমান চাইবার বা না চাইবার অধিকার আছে, তা তথাকথিত উচ্চশিক্ষিত, উচ্চবিত্ত সমাজের এলিট পুরুষরাই এখনো মন থেকে স্বীকার করেন না, লেস ওয়েল প্লেসেড, লেস ওয়েল অফ, তাদের কথা বাদই দিলাম।

আমার প্রায় ত্রিশ বৎসরের অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, এদেশে বিয়ে এমন কোন রসগোল্লা নয় যে বারবার খেতে হবে। হয়তো আমার বরও তাই বলবেন। বিয়েটা দুই পক্ষের কন্টিনিউয়াস সেক্রিফাইস। মেয়েদের বেশি।

রসগোল্লা নয় তা সৃষ্টিকর্তাও বুঝেছিলেন। আর বুঝেছিলেন বলেই ঊনি বিয়েকে ফরজ করেননি। এটা সুন্নাত।

যদি কোন মানুষের দৈহিক, মানসিক ও অর্থনৈতিক সামর্থ্য থাকে, তবে তাকে বিয়ে করতে বলা হয়েছে।

আমাদের সমস্যাটা দেখা দেয় মানসিক ব্যাপারে। ইদানিং আমাদের সহনশীলতা কমে গেছে, ইগো বেড়ে গেছে, কম্প্রোমাইজিং মনোভাব উবে গেছে। সময় নেই সন্তানকে দেওয়ার।

আমরা খুব বেশি মাত্রায় সেল্ফ ওরিয়েন্টেড হয়ে গেছি। ভাঙছে বিয়ে। কেউ সাফার করছে না, করছে ছেলেমেয়েরা।

মা-বাবা যার যার লাইফ এঞ্জয় করছেন, কিন্তু বাচ্চাদের সমাজে বিভিন্ন প্রশ্নের সম্মুখিন হতে হচ্ছে। আপনাদের মিল হচ্ছে না, বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে ঝগড়া করছেন , বুঝতেও পারছেন না আপনি অথবা আপনারা যে ছোট্ট বাচ্চাদের উপর এটা কেমন নেগেটিভ, এক্সট্রা ও আনওয়ান্টেড মানসিক চাপ ফেলছে। ফল তো চোখের উপর দেখতেই পাচ্ছেন। নাকি এখনও পাচ্ছেন না?

আমি সবসময় বলি, এই পুরুষতান্ত্রিক সমাজে আমরা মেয়েরা অনেক সহ্য করি বলে এখনও ৯০% বিয়ে টিকে আছে।

আমার কিছুতেই মনে হয় না একজন ওয়রকিং ওমেন বা মেন সঙ্গীর জন্য বিয়ে করবেন। বর বা বউ কি সত্যিই সঙ্গি হতে পারে? যার সাথে দেওয়া-নেওয়ার সম্পর্ক হয়, সে কী করে ভালো সঙ্গী হবে?

একজন বলেছেন, ‘আপনি নিজে কি সিঙ্গেল? তিনি কি অক্ষম যে বিয়ে করবেন না? নাকি লিভ টুগেদার করলে ভালো হতো তাই বোঝাতে চাইছেন? একটি ছেলের ব্যাপারেও কি এই একই কথা বলতেন? মেয়েদের তিন নম্বর বিয়ে করা কি অবৈধ কাজ? ‘

না, আমি সিঙ্গেল নই। আমি ও আমার বর যৌথভাবে মানিয়ে নিয়েছি বলে সিঙ্গেল নই।

লিভ টুগেদার করবেন নাকি লিভ এলোন করবেন এটা যার যার অভিরুচি। যার রুচি যেমন সে তেমনই করবে। কিন্তু একটা কথা মনে রাখবেন বাঁচতে হলে আমাদের সমাজকে তোয়াক্কা না করে পারা যায় না। সমাজের কতোগুলো রিচুয়াল ও ভেলুজ আছে এবং এগুলো মানুষের ভালোর জন্যই।

বিয়ে সিস্টেমটাই এসেছে উত্তারাধিকারি সঠিক ভাবে নির্ধারণের জন্য। অর্থাৎ সঙ্গী নির্বাচনকে এখানে প্রাধান্য দেওয়া হয়নি, প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে সন্তানদের। সুতরাং শুধু ভালো সঙ্গীর জন্য বা আপনার সক্ষমতার প্রমাণ দেওয়ার বিয়ে না করে সুস্থ স্বাভাবিক সন্তান সমাজকে উপহার দেওয়ার জন্য বিয়ে করুন।

শেয়ার করুন:

Marriage is required or not , a question in human life. It is something , you feel it . An women or men in Bangladesh can not live together . In western world, the scenario is different. It might happen after 50 years , it might happen. I hope live together provision by law could be possible in Bangladesh. An women still in this country afraid of living together with a men due to verious reasons . But there are lot of men who are possibly want to live together . There is a question of security , specially economic security in living together . Overall , if you judge , you can see marriage is obvios need for more than 99% of women.

মামী সালাম নেবেন। সমাজ নামক ইনস্টিটিউশনের প্রথম স্টেপ হচ্ছে বিয়ে, কাজেই বিয়ের প্রথম উদ্দেশ্য সমাজ গঠন, দ্বিতীয় উদ্দেশ্য নতুন সদস্য সমাজে অন্তর্ভুক্ত করা, তৃতীয় উদ্দেশ্য হতে পারে চারিত্রীক স্থিরতা…….আমরা বিয়ে নামক পদক্ষেপ নেয়ার অতি উৎসাহী, তারপর কজন উপরের উদ্দেশ্য গুলি মনে রাখছি? মামী, যতদিন নারীরা “ব্যাক্তিস্বাধীনতা” না চিনে ” নারীস্বাধীনতা” বলে গলা ফাটাবে, ততদিন কেউ অকাজ করবে কেউ তালি দেবে, শুধুমাত্র এই কারণে দিনের শেষে হয়রানিটা নারীদেরই, পুরুষের হাতে বা স্বজাতিদের হাতে।

Copy Protected by Chetan's WP-Copyprotect.