কামরুন নাহার রুমা:
আমি অবিবাহিতা এবং একদমই একা থাকি। ঘরে সপ্তাহে দুদিন কথা বলার সুযোগ আমার হয় আমার গৃহকর্মীর সাথে। নিজের বাজার সদাই নিজেই করি আর এটা বলতেও দ্বিধা নেই যে যখন বাজার করার সুযোগ হয়ে ওঠে না তখন ছাত্ররা বাজার করে দিয়ে যায়।
আমি কাউকে জোর করি না, ওরা ভালবেসেই দিয়ে যায় (না, না ওদের না, আমারই টাকায়)। ছাত্রছাত্রীরা দল বেঁধে প্রায়ই আমার বাসায় খেতে আসে। আমি একা থাকি ওরা এলে আমার ভালোই লাগে। খায়-দায়, হইচই করে, খুব জ্বালায়, কিন্তু আমি উপভোগ করি সেই যন্ত্রণা। এই যন্ত্রণা বড় মধুর। কিন্তু মনটা খারাপ হয় যখন বাড়িওয়ালি খালাম্মা ডেকে বলেন “তুমি অবিবাহিতা একা একজন মেয়ে, তোমার বাসায় এতো ছেলেরা আসে কেন? আমাকে তো এই সমাজের সবার সাথে মিলেমিশে চলতে হয়; তারা আমাকে অবজেকশন দেয়”।
খালাম্মা কখনওই খেয়াল করে দেখেননি যারা আসে তারা সবাই আমার ছাত্রছাত্রী, আমার বন্ধুও না, আমার প্রেমিকও না। দল বেঁধে না এলে আমি লম্বা সময় ছাত্রছাত্রীদের রাখি না। আর হঠাৎ একা কোনো ছাত্র যদি চলে আসে, আমি তাকে ১০ মিনিটের বেশি থাকতে দেই না। সমাজের বিধিনিষেধ আমি জানি এবং মেনে চলার চেষ্টা করি।
আমি অবিবাহিতা তার মানে এই নয় আমার বন্ধু থাকবে না, আমি একা থাকি তার মানে এই নয় আমার বাসায় কেউ বেড়াতে আসবে না। দিনশেষে আমি মানুষতো !
বিশ্ববিদ্যালয়ে (আমার কর্মস্থল) যাবার পথে প্রায়ই কোন না কোন শিক্ষার্থীর সাথে আমার রাস্তায় দেখা হয়। সে যাচ্ছে পড়তে, আমিও যাচ্ছি পড়াতে। দুজনেরই গন্তব্য এক। আর তাই আমি রিকশায় আমার পাশে তাকে উঠিয়ে নেই, অর্থাৎ ক্যাম্পাস অব্দি তাকে আমি লিফট দেই। সে আমার বিভাগের কিনা, ছাত্র না ছাত্রী ওসব দেখার প্রয়োজন আমি বোধ করি না। একই ঘটনা বাড়ি ফেরার পথেও হয়। সেক্ষেত্রে আমি তাকে তার বাসা বা হোস্টেলের সামনে নামিয়ে দিয়ে তারপর ফিরি।
এই কাজটা আমার ধারণা যেকোনো শিক্ষকই করে থাকেন। এটাতে অন্যায় কিছু নেই, বরং ব্যাপারটা অনেক বেশি মানবিক আর ভালবাসার, যদি সেভাবে ভাবতে পারার মত মানসিকতা আমাদের থাকে। কিন্তু ছাত্রদেরকে লিফট দেয়া নিয়েও আমাকে কথা শুনতে হয়েছে, এখনও হয়।
কারণ একটাই, আমি অবিবাহিতা। একজন অবিবাহিতা শিক্ষিকা কেন একজন ছাত্রকে রিকশায় তার পাশে বসাবে? আমি যে ছাত্রীদেরও পাশে বসাই ওটা কারো নজরে আসে না। আর আমার ছাত্রছাত্রী তো আমার সন্তান, আমার বন্ধু, আমার ভাই অথবা বোন – আমার ছাত্র আমার প্রেমিক তো নয়!
আমি খুব ঘুরতে পছন্দ করি। একাতো আর ঘোরা যায় না তাই দেখা যায় ছাত্রছাত্রীরাই আমার সফরসঙ্গী হয় ৯৯.৯৯ ভাগ ক্ষেত্রে। সেটা নিয়েও আমাকে বিস্তর কথা শুনতে হয় শিক্ষিত মানুষজনের কাছে। আমি একজন অবিবাহিতা, ইয়াং শিক্ষিকা! আমি কেন ছেলেদের নিয়ে এতো ঘুরাঘুরি করি! কোথায় লেখা আছে একজন অবিবাহিতা, ইয়াং শিক্ষিকা ছাত্রদের নিয়ে ঘুরাঘুরি করতে পারবে না!
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আমার একটা আইডি আছে। সেখানেও আমার স্ট্যাটাস সিঙ্গেল দেয়া। আর তাতেই যতো বিপত্তি। আমি কেন এখনও বিয়ে করছি না, প্রেমে ব্যর্থ কিনা, আমার শারীরিক চাহিদা আমি কিভাবে মিটাই, আমার বেড পার্টনার আছে কিনা (বলা বাহুল্য না থাকলে সে হতে চায়) ইত্যাদি ইত্যাদি। একজন নারী কেন একা থাকে, কেন বিয়ে করছে না, সেটা তার খুব ব্যক্তিগত ব্যাপার। কাউকে জবাবদিহি করতে সে বাধ্য নয়।
আমি হেপি-গো-লাকি (এই নামে একটা মুভিও আছে) টাইপ একজন মেয়ে। সবকিছুকে সরলভাবে দেখতে, সবার সাথে সহজে মিশতে পছন্দ করি। সবাইকে খুব সহজে আপন করতেও ভালবাসতে পারার ক্ষমতা এবং যোগ্যতা দুটোই আমার আছে। আমি ভীষণ বর্ণিল এবং “ফুল অফ লাইফ” একজন মানুষ। আমার উচ্ছলতা, সহজতা, সরলতা দেখে অনেকেই আমাকে খুব সস্তা ভাবে। কিন্তু আমরা ভুলে যাই সহজ মানেই সস্তা নয়।
আমি একা আছি মানেই অশালীন আর বেপরোয়া জীবনযাপন করছি এটা ভেবে নেয়াটা ঘোরতর অন্যায়। অযাচিত আর বেপরোয়া জীবনযাপন করতে অবিবাহিত হওয়া জরুরি না।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোন নারীর স্ট্যাটাস সিঙ্গেল দেখে যদি পুরুষের মনে হয় “ শী ইজ এভেইলেবল টু স্লিপ উইথ” তাহলে সেটা তার মানসিক বিকারগ্রস্ততা। আর্থিকভাবে স্টেবল সিঙ্গেল কোন নারী রোজ সিনা টান করে চলাফেরা করলে যদি কেউ হিংসায় জ্বলে, তবে সেটা তার ব্যর্থতা।
একজন সিঙ্গেল ফিমেল টিচারকে যদি কোন শিক্ষার্থী মা, বোন বা বন্ধু ভাবতে না পারে, অথবা পিঠ পিছে তার একা থাকা নিয়ে একটা বাজে মন্তব্য করে, তবে সেটা তার লজ্জা। একজন নারী কেন বিয়ে করছে না এই ভাবনায় যদি কোন পুরুষের রাতের ঘুম হারাম হয় তবে সেটা সেই পুরুষের মানসিক দীনতা।

একা থাকা নারী কি গণিমতের মাল নাকি যার যা খুশি বলবে, যা ইচ্ছা আচরণ করবে? একজন নারী যোগ্যতা আর সাধনা দিয়ে একাকিত্বকে আয়ত্ত্বে আনে।
বিশেষ করে মুরুব্বীরা আমাকে প্রায়ই বিয়ে করার কথা বলেন। বিয়ের ভাল দিকগুলো বোঝান। আমার ভালো লাগে। ওনারা ভালবেসে এই কাজটা করেন তাই ভাল লাগে। আবার খোঁচা মেরে বিয়ের কথা বলেন এমন মানুষও আছেন চারপাশে।
আমি বিয়ে বিদ্বেষী না বা পুরুষ বিদ্বেষীও না; প্রেমে ব্যর্থ হয়ে বিয়ে করছি না, তাও নয়। আমি স্বাধীনচেতা আর একা থাকাটা আমার অভ্যাস হয়ে গেছে। আমি একা এটা আমার মনেও হয় না। কিন্তু এই সমাজ আমাকে বারবার মনে করিয়ে দেয় আমি একা, এবং বিয়ে না করে একা থাকাটা মস্ত অপরাধ! মেয়েদের একা থাকতে নেই! কিন্তু কেন?
একজন অবিবাহিতা একা থাকা নারী যদি আর্থিক, মানসিক, রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক কোনভাবেই কারো ক্ষতি না করে নিজের মতো থাকতে পারে, তবে এই সমাজ এবং রাষ্ট্রের তাকে থাকতে দেয়া উচিত। একজন নারীর একা থাকাটা তার অপরাধ নয়, ব্যর্থতাও নয়, একা থাকতে যোগ্যতা লাগে বাহে!
লেখক: জ্যেষ্ঠ প্রভাষক, সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিভাগ, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি
Thanks for writing this. U R true, the society is not respectful to a single woman. Regret that many of us judge or analyse everything from a perspective of sexuality. And so single girls face such heinous questions, loudly or silently.
I do admire of your courage to live alone and more admire of your courage to write the whole thing.
Didi Ami baddo Manus k valobasi r tarai amai kadai bar bar amai ukti kre frustrated emotional kntu Ami kauke kichu bolte parina nijeke bojhai j expectations rakhbona…kntu majher mdhye khub ksto hy ….ami peshay sikhikka…
চমৎকার লিখেছেন। তবে শিরনামটাই মেনে নিতে পারছিনা। নিজের ব্যারথতা বা সার্থকতার অনেক কারন থাকতে পারে। তবে এগুলো যে সবার মধ্যে থাকবেই বা থাকতে হবে এমনটি ঠিক না। কেউ একা বিভিন্ন কারণে থাকে। যেমন বিয়ে করেও একা থাকে, কেউ বিয়ে করে একা থাকে। কেউ মানসিক ভাবে একা কেউ সামাজিক ভাবে একা। কেউ যৌবনে একা কেউ বৃদ্ধ বয়সে একা। কেউ সব থেকেও একা কারো কিছু নাথেকেও একা। একা থাকার মধ্যে আলাদা যোগ্যতার কোন বিষয় নেই। বরং এটি একটি অযোগ্যতা । আপনি একা ব্লতে বুঝিয়েছেন সঙ্গিবিহিন জীবন। আপনি ভুল ব্যাখ্যা দিয়েছেন। আপনি কিন্তু একা নন। আপনি আছেন আপনার ছাত্রছাত্রী ,সহকর্মী ,আথবা বন্দধুদের দ্বারা পরিবেষ্টিত অবস্থায়। থাহলে আপনি একা কোথায়? তাহলে কি আপনি বোঝাতে চাচ্ছেন সেক্স পার্টনার বিহীন থাকাকে? সেক্স প্রত্যেক প্রাণীর জন্য একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। মানব সমাজে এর জন্য একটি রীতিনীতি আছে। কেউ নিয়ম নীতি মেনে চলে কেউ মানেনা। বা বলা যায় মেনে চলার মতো যোগ্যতা বা সামর্থ্য নেই। এই অযোগ্যতাকেই যদি কেউ যোগ্যতা বলে চাপিয়ে দেয়, সেটা দুঃখজনক । এটা সৃষ্টি কর্তার ইচ্ছে বিরোধী । নাস্তিক হলে কথা নেই।
একা থাকতে যোগ্যতা লাগেনা সাহস লাগে আর লাগে প্রচন্ড মনবল।
একা থাকতে যোগ্যতা না সাহস লাগে আর প্রচন্ড মনবল লাগে।
একা থাকতে যোগ্যতা লাগে না সাহস আর প্রচন্ড মনবল লাগে।
রুমা একা থাকাটা যতটা না যোগ্যতার,তার’চে বেশী দুর্ভোগের,কেউ একা থাকতে চায়না।কিন্তু কখনও কখনও থাকতে হয়।
খুব কষ্ট লাগল লেখাটা পরে।
এটি একটি সমসয় উপযোগী লেখা। এজন্য লেখিকাকে ধন্যবাদ। আশা করি যেসব মেয়েরা স্বাধীনভাবে থাকতে চায় তারা এই লেখা থেকে সাহস পাবে। তবে বাস্তবতা হচ্ছে, মেয়েরাও যে বিয়ে না করে, বুক ফুলিয়ে একা একাই চলতে পারে তা এখনো অনেকেই বুঝতে চায় না। বিশেষ করে মেয়েটার পরিবারের লোকজন। আমার এক নিকটাত্মীয় বিয়ে না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু তার মায়ের এ নিয়ে ঘোর আপত্তি। তার এক কথা, ‘আমি না থাকলে ওকে কে দেখবে।’ কিন্তু বিয়ে হওয়ার পরও যে কত মেয়েরা ভিতরে ভিতরে নি:সঙ্গ জীবন যাপন করছে এটা তাকে কে বোঝাবে। তাছাড়া ছেলেমেয়ে থাকার পরও তো কত বাব-মা ওল্ডহোমে কাটাচ্ছে। কাজেই এসব বাজে চিন্তা বাদ দিয়েে একজন ব্যক্তির স্বাধীন চিন্তাকে সম্মান জানান উচিত। বিয়েটা একান্তই ব্যক্তিগত বিষয়।
ম্যাম আপনার সাহসের জন্য প্রশংসা করতে হয়। কিন্তু আপনাকে ত এটাও ভাবতে হবে যে এই মহাবিশ্ব একটা নির্দিষ্ট নিয়মে চলে । আপনি বিয়ে না হয়ত আপনার কোন সমস্যা হবে না কিন্তু সমাজ তার রঙ হারাবে। আপনার মত কেও বিয়ে না করলে মানুষ হয়ত একদিন আর থাকবেনা, এমনকি আপনার পূরব পুরুষ বা নারীরা যদি তা করত তাহলে আপনার হয়ত আর একা থাকার সুযোগ হত না। তাই আমার মনে হয় বিয়ে করতে যদি কোন সমস্যা না হয় তাহলে সবার বিয়ে করা উচিত নিজের জন্য না হলেও অন্তত সমাজের প্রয়োজনে।আমি একটা কথা সবসময় বলি তা হল আমরা ভাল না থাকলে ও আশেপাশের মানুষ বিশেষ করে মা বাবা ভাই বোন এদের জন্য হলেও ভাল থাকতে হয়। তাই আপনাকে আমি বলব পারলে বিয়ে করে ফেলেন। তবে সে যেন আপনার বরনিল, উচ্ছলতা,সহজ জীবনকে মেনে নেই এমন দেখে বিয়ে করেন।
Everyone should following the nature.
নারী হোক পুরুষ হোক একা থাকা কোন যোগ্যতা নয়। সৃষ্টির নিয়মের ব্যতিক্রম করলে তো প্রশ্ন উঠবেই । সমাজ ধরেই নেবে তার শারিরীক বা মানসিক সমস্যা আছে। এবং অধিকাংশ ক্ষেত্র তাই হয়। আপনি ব্যতিক্রম হতে পারেন, কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে এটা একটা এবনরমাল ব্যপার।
akdom amar moner kotha , karon amio aka thaki
আমি পুরুষ। ৪০ এর কোঠায় পা দিলাম। নামকরা এক বহুজাতিক কোম্পানিতে জব করছি। একা থাকতে গিয়ে আমাকেও আপনার মত কথা শুনতে হচ্ছে। পরিবার অন্য কিছু ভেবে বসে আছে। নিদারুন যন্ত্রনায় আছি।
hat’s off, madam…
নিজের অস্তিত্বকে বুঝে যদি আপনি একা চলার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন তাহলে মেডাম ঠিক আছে ।।
আপনি কিভাবে ভালো থাকবেন তা শুধু আপনিই ভালো জানেন তখন একা থাকা ভালো …কিন্তু যখন দেখবেন আপনি নিজেকে নিয়ে কনফিউজ অথবা আপনার নিজে থেকে অন্য একজন আপনায় ভালো বুঝতে পারে তাহলে সঙ্গী বেছে নেয়াই উচিত ।।
অবশ্য সবসময়ই যে সঙ্গী বাছাই সঠিক হবে তা ঠিক নাহ তবে বিশ্বাস নিয়েই বেঁচে থাকার নামই তো জীবন …।
I agree with everything that you have said and I understand! It is really sad how really intolerant people are and how people make it their business to say something stupid, inconsiderate and superficial about someone else’s personal choice in life- it is like people have to butt in when they are not needed. If people were not living small, narrow lives and broadened their minds and hearts a bit, people would not be judged so nastily, critically or harshly for their own life decisions.But alas that is like wishful thining.
I totally understand her and agree with her! If only people understood and respected other people’s way of life!
একা থাকতে আসলে কোন যোগ্যতাই লাগেনা, যোগ্যতা লাগে একটি সংসার গড়ে তুলতে। বস্তি থেকে শুরু করে আলিশান দালানে দালানে বহু নারী আজকাল একা থাকে তাদের অতীত ইতিহাস এবং বর্তমান জানলেই বুঝতে পারবেন কেন তারা একা এবং কেন একা থাকার চেয়ে একটি সংসার গড়ে তুলতে অনেক অনেক বেশী যোগ্যতার প্রয়োজন হয়। যারা বলে একা থাকতে যোগ্যতা লাগে তারা আসলে ভণ্ড। নিজের ব্যর্থতা এবং আরও কিছু আড়াল করতেই এমন কথা বলে থাকে।
নিজের অস্তিত্বকে বুঝে যদি আপনি একা চলার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন তাহলে মেডাম ঠিক আছে ।।
আপনি কিভাবে ভালো থাকবেন তা শুধু আপনিই ভালো জানেন তখন একা থাকা ভালো …কিন্তু যখন দেখবেন আপনি নিজেকে নিয়ে কনফিউজ অথবা আপনার নিজে থেকে অন্য একজন আপনায় ভালো বুঝতে পারে তাহলে সঙ্গী বেছে নেয়াই উচিত ।।
অবশ্য সবসময়ই যে সঙ্গী বাছাই সঠিক হবে তা ঠিক নাহ তবে বিশ্বাস নিয়েই বেঁচে থাকার নামই তো জীবন …।
আপু, অসাধারণ লিখেছেন, লেখা পড়ে চোখে জল এসে গেছে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায়….. আর শেষ লাইনটা এপিক ছিল, একা থাকতে যোগ্যতা লাগে বাহে……!!!
ডক্টর সাহেব, সাংস্কৃতিক মূল্যবোধের দোহাই দিয়ে মানুষের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা এক ধরণের অসভ্যতা। আপনি পশ্চিমের যে সব উদাহরণ দিলেন সেইগুলি এইদেশের বিবাহিত শিক্ষকরা (বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাদ্রাসা) আরও বেশী পরিমাণে করে থাকে। মানুষের যৌন আচরণ তার ম্যারিটাল স্ট্যাটাসের উপর নির্ভর থাকেনা এই জ্ঞানটুকু আপনার থাকা উচিৎ ছিল। পশ্চিমের সাথে সার্বিকভাবে আমাদের তুলনা করতে গেলে বরং আমাদের উচিৎ তাদের মত জীবনযাপন শুরু করা। তাহলে বাক্স-পেটরা সমেত সেই “অনৈতিক” সমাজে ইমিগ্রেশনের জন্য এই “নৈতিক” সমাজের লোকজন মুখিয়ে থাকত না।
CHOMOTKAR VHABNA…..APNAR LEKHA POREY THIK NIJER KOTHA GULU E ABAR SHUNTEY PELAM…DHONNOBAD APU
একা থাকতে আসলে কোন যোগ্যতাই লাগেনা, যোগ্যতা লাগে একটি সংসার গড়ে তুলতে। বস্তি থেকে শুরু করে আলিশান দালানে দালানে বহু নারী আজকাল একা থাকে তাদের অতীত ইতিহাস এবং বর্তমান জানলেই বুঝতে পারবেন কেন তারা একা এবং কেন একা থাকার চেয়ে একটি সংসার গড়ে তুলতে অনেক অনেক বেশী যোগ্যতার প্রয়োজন হয়। যারা বলে একা থাকতে যোগ্যতা লাগে তারা আসলে ভণ্ড। নিজের ব্যর্থতা এবং আরও কিছু আড়াল করতেই এমন কথা বলে থাকে।
Teacher, apni jodi ekjon Muslim hoye taken,tahole obossi alquran bissas Korean,Alquran ki bole biye kora foroj,onek karono ase,bindu porimaner somossa na thakle apnar jonno biye foroj,apni ta mansen na,apnar nijekei khoti korsen,jodi na bujen tahole study Korean,Alquran e sorbo prothom ghen orjoner kotha bola ase.knowthyself,thanks
Al quran er kon jaygay ache biye kora foroz? Apni ki Rabeya Bosree er kotha janen na? Dekhun dhormo ta k valovaabe study na kore kotha bola uchit na. Sorry jodi apni hurt hoye thaken.
আপনার স্বাধীনতা,সরলতা,বিশুদ্বতার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বলছি আপনি হয়তো ভাবছেন আপনি সঠিক পথে আছেন। কিন্তু আমি বলব আপনি ধর্মিও ও আমাদের সামাজিক
মুল্যবোধের বিরোদ্ধে হাটছেন।আপনি প্রমান করতে চাচ্ছেন আপনার মা,বাবা তথা আমাদের পুর্ব পুরূশেরা ভুল করেছেন।যদি সূর্যদোয় সূর্যাস্ত,শান্ত বহমান নদীর গতি,উত্তাল সাগর,সবুজ দিগন্ত,নিশ্পাপ শিশুর হাসি আপনার হৃদয় স্পর্শ করে তবে আপনাকে অনুরোধ করবো প্রকৃতির স্বাভাবিক গতিকে বাধাগ্রস্ত্র করবেননা।কারন প্রকৃতির প্রতিশোধ বরই র্নিমম।
আমাদের সমস্যা হচ্ছে আমরা আমাদের বর্তমান অবস্থা নিয়ে সবসময় চিন্তা করি। আপনার প্রতি সম্মান রেখে এবং শ্রদ্ধাভরেই বলছি এখন আপনার শক্তি সামর্থ্য আছে মানসিক বল আছে, একা একা আপনি চলতে পারেন। কিন্তু এই চলাফেরাটা একটা নির্ধারিত সময় পর্যন্ত করতে পারবেন। আপনার এই বয়স এই শক্তি একসময় পরিবর্তন হবে। নিজেকে একজন পয়ষট্টি সত্তর বছরের বৃদ্ধা হিসেবে চিন্তা করুন দেখবেন একজন সংগীর কি প্রয়োজন। আপনার স্বামী থাকবেনা সন্তান থাকবেনা, একাকি বাকি জীবন মৃত্যুর আগ পর্যন্ত পার করতে হবে। সেই সময়টা মানসিক ভাবে শক্ত থাকাটা খুবই কঠিন। একজন বৃদ্ধ মানুষ চায় সবাইকে সাথে নিয়ে থাকতে, সবাই তার সাথে গল্পগুজব করুক , তাকে টেক কেয়ার করুক এটা চায়। কিন্তু সেইসময়টা আসলে আজকে যেই ছাত্র/ছাত্রীরা আপনাকে সময় দেয় তখন তারা ব্যস্ত হয়ে যাবে নিজেদের সংসারধর্ম পালন করতে। আপনার দিকে তারা ফিরেও তাকাবেনা। ক্ষেত্র বিশেষে আপনি তাদের সাথে দেখা করতে চাইলেও তারা বিরক্তবোধ করবে। আপনি যদি বিয়ে করেন (অবশ্যই আপনার হাজবেন্ডকে আপনার প্রতি দায়িত্বশীল হতে হবে, ভালবাসতে হবে) শেষ বয়সে এই একাকিত্বটা থাকবেনা, দুজনে মিলে ঘুরতে বেরুবেন, আকাশ দেখবেন, নদী দেখবেন, সবুজ দেখবেন নুতন করে পৃথিবীটাকে দেখবেন। যদি স্বামী মারা যায় আপনার সন্তানরা আপনাকে দেখবে, তাদের নাতি/নাতনিরা আপনাকে দাদু নানু বলে আপনার কাছে গল্প শুনতে চাবে। এই ফিলিংসই আলাদা। পরিবারের মত শক্ত বাধন কোথাও নেই। কেউ দিতেও পারবেনা।
আপনার সাথে কথা বলার দৃষ্ঠতা আমার নেই। তবে আমি নিজের চোখে দেখেছি বৃদ্ধ মানুষের একাকীত্বের হাহাকার। একজন সন্তানহীন মায়ের দীর্ঘনি:শ্বাস। এদের শেষ বয়সটা খুবই নি:স্বংগ ভাবে কাটে। এখন যেভাবে পৃথিবীটা আপনার কাছে মনে হয় তখন পৃথিবীটা মনে হবে একটা জেলখানা।
সব কিছু লিখা থাকতে হয় না। আর স্বাধীন চেতা হলে বিয়ে করা যাবে না, বিষয়টা এমন ও না।
আপনার লেখা খুবই শক্তিসালি ও যৌক্তিক। এ হচ্ছে টাকার এক পিঠ। ও পিঠে কি আছে তা কিন্তু আপনি লেখেননি।এবার ওপিঠটা একটু দেখে আসি। আপনি যা লিখেছেন তা সম্পূর্ণই আমাদের সাংস্কৃতিক মূল্যবোধের বিপরিত।আপনার লেখা western মূল্য বোধের সহায়ক।নারী-পুরুষ মিলেই তো জীবনের pair ।আপনি তা যেন আমাদের ভুলিয়ে দিতে চাইছেন। পশ্চিমা দেশগুলয়ে আজ আপনার মতো নারী শিক্ষকরা স্কুল থেকে ইউনিভার্সিটি পর্যায় পর্যন্ত ছাত্রদের সাথে যৌন কর্মে লিপ্ত। এজন্যই শত শত অনৈতিক আচরণের অভিযোগ পশ্চিমা নারী শিক্ষকদের প্রতি বিচার বিভাগে ঝুলছে।
হ্যাঁ ! স্বীকার করি, আপনি হয়তো বেতিক্রম। আপনার মতো মহিলা শিক্ষক বাংলাদেশে হাতে গোনা; যখন বহুল ভাবে আপনার মতো শিক্ষকরা বাংলাদেশে জীবনযাপন শুরু করবে, তখন পশ্চিমাদের মতো একই ফল আমাদের সমাজেও দেখা দেবে। কান টানলে যেমন মাথা আসে, সেই সাথে বহুল্ভাবে চলে আসবে সমকামিতা, যেগুলোর থেকে আমরা এখনও মোটামোটি মুক্ত। আরও বহু সামাজিক অনাচার, আপনার উল্লেখিত লাইফ স্টাইল আমাদের সম্মুখীন করবে যেমন পরিবার ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যাবে, এখন পশ্চিমা রা যার সম্মুখীন। আশা রাখি আমার লেখায় আপনার বোধোদয় হবে।
ডক্টর সাহেব, সাংস্কৃতিক মূল্যবোধের দোহাই দিয়ে মানুষের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা এক ধরণের অসভ্যতা। আপনি পশ্চিমের যে সব উদাহরণ দিলেন সেইগুলি এইদেশের বিবাহিত শিক্ষকরা (বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাদ্রাসা) আরও বেশী পরিমাণে করে থাকে। মানুষের যৌন আচরণ তার ম্যারিটাল স্ট্যাটাসের উপর নির্ভর থাকেনা এই জ্ঞানটুকু আপনার থাকা উচিৎ ছিল। পশ্চিমের সাথে সার্বিকভাবে আমাদের তুলনা করতে গেলে বরং আমাদের উচিৎ তাদের মত জীবনযাপন শুরু করা। তাহলে বাক্স-পেটরা সমেত সেই “অনৈতিক” সমাজে ইমিগ্রেশনের জন্য এই “নৈতিক” সমাজের লোকজন মুখিয়ে থাকত না।
Respect!!!
I want bravy children like you.
আমাদের সমাজে একা নারীই নয় পুরুষদের ও কম বিপদে পরতে হয়না । একা থাকবেন কেন বউ কই ছেলে মেয়ে কই ? এতো বয়স হয়েছে এখনও বিয়ে করেন নাই ? এ মেয়েটি আপনার কি হয় ? আমাদের এখানে এসব চলবে না । নানান কথা শূনতে হয় । এবং খুবই বিব্রত হতে হয় যখন এটা অতিথির সামনেই প্রশ্ন করে । তবে আমরা সকলেই চাই এর পরিবর্তন ঘতুক্্্্্্্্্্্্্্,
আমাদের সমাজে একা নারীই নয় একা পুরুসদের ও কম দুর্ভগ পোহাতে হয়না। বাসা ভাড়া দিতে চান না । বউ ছেলে মেয়ে কই ? এত বয়েস হয়েছে এখনও বিয়ে করেননি ? নানান ভাবে প্রশ্নের সম্মুখে পরতে হয় । একই প্রশ্ন আমাকে করে আপনার সাথে মেয়েটি কে ? আমারদের এখানে ওসব চলবেনা । মেয়েরা আস্তে পারবেনা …………………… ..
আমাদের সমাজে একা নারীই নয় একা পুরুসদের ও কম দুর্ভগ পোহাতে হয়না। বাসা ভাড়া দিতে চান না । বউ ছেলে মেয়ে কই ? এত বয়েস হয়েছে এখনও বিয়ে করেননি ? নানান ভাবে প্রশ্নের সম্মুখে পরতে হয় । একই প্রশ্ন আমাকে করে আপনার সাথে মেয়েটি কে ? আমারদের এখানে ওসব চলবেনা । মেয়েরা আস্তে পারবেনা ………………………
Onek onek shuvessa erokom ekti shosso manoshikotar jonno. Nari khule felo golar har, nakerful ar hater chori.
Thanks a lot for your mental courage and personally. I appreciate you and hope you will be able to win a barrier. God will bless you with his kindness.
লেখাটা পড়ে ভাল লাগল।
Actually,
what do u want to say?
একচুয়ালি… তা বোঝার মতো জ্ঞান আপনার নাই! আফসোস… হবার কোন সম্ভাবনাও নাই!!
Bravo! I salute you from my cordial heart.
সাহসী,অভিনন্দন!ভয় ত্যাগ করে আরো নারী এই ভাবে জগতের আনন্দ উপভোগ করার চেষ্টাটা অন্তত করুক,তবেই তো সমাজ বদলাবে।
Thi is not the to live happy life. This is life like an animal.Human social can’t live alone. Moreover a Muslim must follow the rules of Islam which was directed by the most wise Allah. Why your system is wrong He knows, you have very little knowledge to realise why you are wrong.
The society should let the unmarried and single women to live freely everywhere.