উইমেন চ্যাপ্টার (৩০ জুন): বর্ণবাদের বিরুদ্ধে জীবনভর আন্দোলনকারী অবিসংবাদিত নেতা নেলসন ম্যান্ডেলা (৯৪) যখন মৃত্যুশয্যায়, তখন তাকে রাজনৈতিক জীবনের ‘হিরো’ হিসেবে গ্রহণকারী বারাক ওবামা দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে এসে খুঁজে বেড়াচ্ছেন ইতিহাসকে। আস্বাদ নিতে চাইছেন আন্দোলনের সেইসব দিনগুলোর, সেই আন্দোলনকারীর রহস্য ভেদ করতে। দুজনই নিজ নিজ দেশে প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট, এছাড়াও দুজনের আরো মিল আছে। ওবামা বলছিলেন, তার মেয়েদের কাছে ম্যান্ডেলা সম্পর্কে সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতেই এবার তিনি তাদের নিয়ে এসেছেন।
রোববার তিনি গিয়েছিলেন রবেন দ্বীপে, যেখানকার এক কারাগারের ছোট কক্ষে নেলসন ম্যান্ডেলা কাটিয়েছেন জীবনের ১৮ বছর। ওবামা সেখানে বলেন, তিনি এবং তার পরিবার এই কক্ষ দেখে গভীরভাবে মর্মাহত। ওবামা ঘুরে ঘুরে দেখেন কারাগার, যেখানে ম্যান্ডেলাকে অন্য কয়েদীদের সাথে ইট ভাঙতে হতো, সেই জায়গাও ঘুরে দেখেন। ১৮ বছর কারাবাসের সময় ম্যান্ডেলার যক্ষা হয়েছিল, কারাগারের স্যাঁতস্যাতেঁ কক্ষের জন্যই হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়। মি. ওবামা এরপর অতিথিদের বইতে লেখেন, ‘যে মানুষ এমন সাহসী এবং অন্যায়-অবিচারের মুখেও যিনি কখনও নতি স্বীকার করেননি, তাঁর এখানে দাঁড়াতে পেরে আমাদের পরিবারের পক্ষ থেকে আমরা গভীরভাবে শ্রদ্ধাবনত। সারাবিশ্ব রবেন দ্বীপের এই হিরোদের জন্য কৃতজ্ঞ। তারাই প্রমাণ করে গেছেন যে, কোনো শিকল বা কুরি মানুষের মানসিক শক্তির কাছে কিছুই না।
এরপর তিনি চলে যান প্রিটোরিয়া ইউনিভার্সিতে বক্তৃতা দিতে, পাশাপাশি এক বিদ্যুত প্রকল্প উদ্বোধন করতে।