সেনা কর্মকর্তার মেয়ে বলছি

সীমানা রহমান আঁচল: আমি একজন সম্মানিত আর্মি অফিসারের মেয়ে।জীবনের পুরাটা সময় বিভিন্ন ক্যান্টনমেন্টেই কাটসে।এখনও আর্মির সবচেয়ে নিরাপদ এলাকাতেই বসবাস আমার।আর্মি অফিসারের মেয়ে বলেই হয়তো এতোটা নিরাপদ ছিলাম। কিন্তু যদি বাবা বা ভাই আর্মি অফিসার না হয়, সেক্ষেত্রে একটা মেয়ের ক্যান্টনমেন্টে থাকাটা কতটা নিরাপদ তা নিয়ে আশংকা অনেক।

Army Daughterক্যান্টনমেন্ট এ বাইরের মানুষের ঢুকতে পরিচয় ও সাথে যৌক্তিক কারণ দেওয়া লাগে।এতে মানুষ বিরক্তও হয়। কিন্তু এগুলো নিরাপত্তার জন্যই করা হয়। সেখানে বাইরের থেকে কেউ এসে ক্যান্টনমেন্টের ভিতরে কোন মেয়েকে রেপ করে হত্যা করার মত অসাধ্য সাধন করা কারো পক্ষেই সম্ভব না।

মানুষ তো এত বোকা না। সবাই বুঝতেসে এটা ভিতরের কারোরই কাজ।ফুল প্ল্যানিং এর মাধ্যমে করা এই হত্যা একটা পরিবারকে ধ্বংস করে দিল।আর যদি এটা কোন সিভিলিয়ান করে তাইলে কোথায় ক্যান্টনমেন্টের নিরাপত্তা?

হ্যাঁ এই রেপ-হত্যা আমাদের দেশে এখন সাধারণ ব্যাপার হয়ে গেছে। প্রতিদিনই শুনতে হয়। কিন্তু যদি তা আর্মির এলাকায় হয়ে থাকে তাইলে আর্মির কীসের এতো অহংকার? একটা মেয়েকে নিরাপত্তা দিতে পারে না, তাইলে কী নিয়ে এতো গর্ব?

সোহাগী জাহান তনু যদি কোন অফিসারের মেয়ে হয়ে থাকতো তাইলে এতোক্ষণে ওর অপরাধীদের বের করে তিনবার ফাঁসিতে ঝুলানো হয়ে যেতো। দোষ তার বাবার ৪র্থ শ্রেণীর কর্মকর্তা হওয়ার। দোষ তাদের ভাগ্যের। (ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)
‪#‎justiceforTonu‬

শেয়ার করুন:

ইয়াসমিনের সাথে কি তোমার দেখা হয়েছে তনু ?
দিনাজপুরের ইয়াসমিন।

সেই কুড়িটি বছর আগে
রাষ্ট্রের পোশাকধারী রক্ষকদের পৈশাচিক উন্মাদনায়
নির্মম মৃত্যু, বারুদের মত ছড়িয়ে যায় গোটা দেশ ।
রক্তে বীর্যে ভেজা ”স্যালোয়ার”
ফিরে আসে জাগ্রত নারীর প্রতিকী পতাকা হয়ে।
জনতার চেতনার আকাশে উদিত হয়
মানবতার সূর্য্য ” ইয়াসমিন।”
প্রচন্ড আলোড়নে খসে যায়,
বিবেকহীনতার আবরণে ঢাকা
তামিলপালনকারী কর্তাব্যক্তিদের
”অপ-শাসন।”

সেই কুড়িটি বছর আগে, তোমারই মত যন্ত্রণা নিয়ে তনু,
চলে যায় অবুঝ ইয়াসমিন, না ফেরার দেশে
Sujayet

Copy Protected by Chetan's WP-Copyprotect.