শান্তনু বিশ্বাস: ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবসে ফেসবুক থেকে শুরু করে নানা মাধ্যমে নানা লেখায় নারীর (মানুষ) অকপট কথাগুলো জানা গেল। অধিকাংশেরই পুরুষ দর্পিত সমাজে তাঁদের অবস্থান, তাঁদের প্রতিযুদ্ধ, প্রতিনিয়ত দেয়াল ভেঙ্গে ভেঙ্গে এগিয়ে যাওয়া, সম্ভ্রম ও মর্যাদা হারাবার ভয়, বঞ্চনা, অধিকার বিচ্যুতি এসবই উল্লেখিত। এবং সত্যি বটে. নারীর সুরক্ষা, মাথা উঁচু করে স্বাধীন জীবন যাপনের অধিকার, কোনটাই এখনো পর্যন্ত নিশ্চিত করা যায়নি। তারা যা বলছেন, ভাবছেন তা বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে অর্জিত।
তবে একটি লেখা যদি এমন পেতাম যেখানে বিধৃত সেই পুরুষদের (মানুষ) কথা যারা এই অন্ধকারের চারপাশে কিছুটা আলো জ্বালিয়ে রেখেছে, যার আলোকছটায় অন্ধকারটা এখন অনেক স্পষ্ট, যারা সমান পাটাতনে একইসঙ্গে দাঁড়িয়ে, একীভূত হয়ে অধিকার আদায়ে সোচ্চার , নারীর (মানুষ) কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে, হাতে হাত ধরে লিঙ্গ বৈষম্যের সমস্ত কলুষ ও প্রতিকূলতার মুখোমুখি দাঁড়িয়ে, তাকে ডিঙিয়ে বা প্রতিহত করে নারীর (মানুষ) সমান মর্যাদা ও বহুধা কর্মের ক্ষেত্রকে কেবলই বিস্তৃত করতে বিপুল সহায়ক শক্তির আধার হয়ে উঠছে ।
সেই বাবা যে তার মেয়ে কে বিয়ে না দিয়ে বলছে নিজের পায়ে দাঁড়া, তারপর তোর জীবন তুই নিজেই ঠিক করে নিস, সেই বাবা যে তার মেয়েকে উপযুক্ত শিক্ষা ও সংস্কৃতির ভেতর, নারী হিশেবে তাকে আত্মনির্ভরশীল শুধু নয়, মর্যাদা ও সম্মানে অনন্য একটি অবস্থানে দাঁড়ানোর ক্ষেত্র তৈরি করে দিচ্ছে ।
সেই ভাই যে বোনের চাকরির খবর শুনে আনন্দে উত্তাল হয়ে উঠছে। যে তার স্বপ্নের বুনন ওই বোনটিকে ঘিরে করেছে, ঘরে সমস্ত কাজ ভাগ করে নিচ্ছে বোনের সঙ্গে।
সেই বন্ধু (পুরুষ) যে নানা সংকটে বিরাগে, দুঃসময়ে- দুর্যোগে, বিপর্যস্ত মুহূর্তে সরে না গিয়ে অনড় দাঁড়িয়ে আরুনি উদ্দালকের মত বান ঠেকিয়ে চলেছে।
ভালবাসার সেই মানুষ (পুরুষ) যে সংসারের সমস্ত কাজ সমানভাবে ভাগ করে নিচ্ছে প্রতিদিন, বলছে যাও, আমি সব সামলে নেব, ভালবাসার সেই মানুষ (পুরুষ) যে তার নারীর (মানুষ) সমস্ত কিছুতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ দুটি হাত বাড়িয়ে আছে সারাক্ষণ …………এদের কথা, কেউ বলবে না………