কাকলী তালুকদার: আমরা তিন বোন এক ভাই, ছোটবেলা থেকে একমাত্র বড় ভাইয়ের সবকিছুতে অগ্রাধিকার আমার মনকে সব সময় বিদ্রোহী করে তুলেছে। আমি কোনদিন মানতে পারিনি শুধুমাত্র ছেলে সন্তান হিসেবে সে অগ্রাধিকার পেয়েছে। একটা সময় পর্যন্ত বিষয়টি ঈর্ষা পর্যন্ত ছিল, যতদিন আমি বুঝতে পারিনি এগুলো সমাজের সৃষ্ট।
যখন বুঝতে শিখেছি তখন থেকে ঈর্ষাটা অপমানে পরিণত হলো, সেই অপমানবোধ এখনও বয়ে বেড়াচ্ছি। সেই অপমান থেকে নিজেকে তথা আমার মতো যারা নিজেদের অপমানিত বোধ করেন তাদের জন্যই আমার এই লেখা।
সত্যি বলতে আমাদের মা-বাবা শুধু চাইতেন আমরা যেন চার ভাইবোন লেখাপড়া করি। নিজের জীবনবোধটুকু তৈরি করে যেন একটা সুস্থ সমাজে নিজেদের চালিয়ে নিতে পারি। মূলত স্বপ্নটি আমার বাবার, মা সারাজীবন সেই সাপোর্টটুকু প্রাণপনে দিয়ে গেছেন বাবাকে। পুরুষতান্ত্রিক সমাজে আমার বাবার কাছে আমি অনেক কৃতজ্ঞ তার এই সুচিন্তার জন্য।
সুচিন্তা এইজন্যই বলছি, আমাদের গ্রামটি একটি বিচ্ছিন্ন গ্রাম, হাওরের মাঝে গ্রাম। ছয় মাস পানির নিচে থাকে আমাদের ফসলের জমি, বাড়ি-ঘর শুধু জেগে থাকে। আর ছয় মাস শুকনা থাকে। মূলত বোরো ফসল আমাদের প্রধান আয়ের সোর্স। এক সময় রবি শস্যও আমাদের বাড়ি ভরে দিত।এইগুলো এখন অতীত।
যদিও আমাদের এই বিচ্ছিন্ন গ্রামের মানুষ শহর চিনতো অনেক আগে থেকেই, যখন মাইলের পর মাইল হেঁটে শহরে আসতো মানুষ। ট্রেন চালু হয়নি তখনও। সে যুগ আমি দেখিনি, তবে এত টুকু মনে পড়ে আমরা যখন নেত্রকোনায় আসতে হলে দুই ঘন্টা হাঁটতে হতো, তারপর রিক্সা মিলতো, অনেক সময় মিলতোও না। মোহনগঞ্জ এসে আমরা ট্রেনে উঠতাম।
বর্ষাকালে তখনও ইঞ্জিন নৌকা চালু হয়নি, মহিষের শিং দিয়ে ভেঁপু বাজিয়ে আসতো পাল তোলা নৌকা। সেই নৌকা করে আমরা মোহনগঞ্জ আসতাম। তার কিছুদিন পরই ইঞ্জিন নৌকা চালু হয়।
সেইখান থেকেই কয়েকজন সচেতন মা-বাবা আমাদের বাড়ির ছেলেমেয়েদের উন্নত জীবনের আশায় শহরে পাঠান। তখন অনেকেরই নেত্রকোনায় নিজেদের বাসা আছে, যাদের নেই তারা বাসা ভাড়া করে ছেলেমেয়েদের রাখতেন।
পরবর্তীতে অনেকেই ওই পরিবেশ থেকে উন্নত জীবনে ঢুকেছে, অনেকেই আবার সেই গ্রামে ফিরে গেছে। আমাদের অনেক আত্মীয়-স্বজন আছেন, যারা জীবনে লেখাপড়ার সেই সুযোগটুকুও পায়নি।
সেখান থেকে হিসেব করলে আমরা অনেক ভাগ্যবান। তারপরও আমার বিদ্রোহী চোখ কেমন করে যেন অসমতাগুলো ধরতে পারতো। সময়ের সাথে সাথে সেই বিদ্রোহী চোখের প্রখরতা আরো বেড়েছে।আমার বড় ভাইটি অনেক অসুস্থ থাকতো, তাই মা-বাবা তার প্রতি অনেক বেশী যত্নশীল ছিল।
প্রতি সকালে তার জন্য একজন দুধের ছানা দিয়ে যেতো। এইগুলো তার জন্য বরাদ্দ ছিল, তার নতুন পোশাকের উপর খুব ঝোঁক ছিল, কেমন করে যেন সে পেয়ে যেতো প্রায় মাসে মাসেই। সে যখন এসএসসি পাশ করলো, আমার মা তাকে ফরনিক্স সাইকেল কিনে দিলো, অটোমেটিক ঘড়ি কিনে দিলো। এই নামগুলো আমার মাথায় এখনও সতেজ হয়ে আছে। এর মূল কারণ আমি বঞ্চিত হয়েছি বলে।
তবে সবচেয়ে ইতিবাচক দিক ছিল আমাদের বাবা আমাদেরকে মেয়ে সন্তান হিসেবে কখনও লেখাপড়ার বিষয়ে নিরুৎসাহিত করেননি। এমনকি পরবর্তী সময়ে কলেজ-উনিভার্সিটি জীবনে আমাদের অনেক বন্ধু-বান্ধব হয়েছিল, যারা আমাদের বাড়িতেও যেতো। ছেলে-মেয়ের বন্ধুত্ব নিয়ে অনেকের মধ্যে কমপ্লেক্স কাজ করলেও, আমাদের মা-বাবা বিষয়টিকে কখনও নেতিবাচক দৃষ্টিতে মূল্যায়ন করেননি। এই বিষয়টি আমি গর্ববোধ করি এখনও, কারণ আমার গ্রামটি এখনও পশ্চাদপদ একটি গ্রাম।
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ধর্ম পালন, এ নিয়ে আমাদের ঘরে কখনই বাড়াবাড়ি নেই। মা-বাবাকেও কখনও দেখিনি পূজা অর্চনা নিয়ে খুব ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন। তবে কিছু ব্রত, পূজা করা হতো, এখনও করে। ধর্ম নিয়ে আমাদেরকে কখনও বাধ্য করেননি মা-বাবা। আমাদের ইচ্ছে অনুযায়ী করেছি, কিংবা করিনি।
কিন্তু এখন মনে হচ্ছে এই ধর্ম বিষয়টি আমাকে আমার পারিবারিক অধিকার বোধ থেকে যোজন যোজন দূরে নিক্ষেপ করেছে। আমি একজন সচেতন মানুষ হিসেবে রীতিমতো অপমানবোধ করি।
আমাদের মা-বাবার সাথে ভাইয়ের চেয়েও আমাদের তিন বোনের সম্পর্ক অনেক কাছের। উনাদের এখন বয়স হয়েছে, রেগুলার ডাক্তারের চেকআপ, ঔষধ সবকিছু একটা রুটিনের মধ্যে চালাতে হয়। সেই দায়িত্বগুলো আমরা আমাদের মতো করে থাকি। এইগুলো আমাদের কেউ বলে দেয় না, আমাদের দায়িত্ববোধ থেকেই করি। আমাদের প্রতি মা-বাবার ভালোবাসা ও সেই ছোটবেলার মতোই অটুট।
তবুও একটি জায়গায় আমার বাবা সন্তানদের সমানভাবে ভাবতে পারছেন না। বাবার সম্পত্তিতে আমার ভাইয়ের পূর্ণ অধিকার, অথচ আমরা তিন বোন সেই সম্পত্তিতে অধিকার পাই না।
কিন্তু আমার সারা জীবনের আদর্শ বাবাকে আমি এই একটি জায়গায় মেলাতে পারছি না। যে বাবা আমাদেরকে ধর্মের গণ্ডিতে কখনও আটকে দেননি, সেই বাবা কি শুধু ধর্মের বন্টনকে মেনে নিয়ে সন্তানদের আলাদা করবেন?
আমার ভাই সেও কখনও বলে না, আমাদের চার ভাই-বোনকে সমভাবে বন্টন করে দিতে হবে। আসলে আমাদের অভ্যস্থতা আমাদেরকে চিন্তায় পঙ্গু করে দেয়। আমাদের পরিবারগুলোই সন্তানদের অসম করে গড়ে তোলে। কেউ কেউ খুব সচেতনভাবে, বেশীর ভাগ অসচেতনভাবে শিশুর ভিতরে বৈষম্য তৈরি করে।
বেশীরভাগ পরিবারে দেখা যায়, এক সময় বৃদ্ধ মা-বাবার চেয়েও তাদের সম্পত্তি সন্তানদের কাছে বেশী প্রয়োজনীয় হয়ে যায়। সারা জীবন সন্তানদের জন্য সব ত্যাগ করে যতটুকু জমান, সেইগুলোও সেই পুত্রের জন্য রেখে যান। হতে পারে সেই পুত্র মা-বাবার প্রতি কোন রকম দায়িত্বও পালন করে না। নিজের অর্জিত অনেক কিছু রেখেও স্থান হয় বৃদ্ধাশ্রমে।
আমার দেখা অনেক হিন্দু নারী আছেন স্বামী পরিত্যক্ত হয়ে বাবার বাড়িতে ফিরে আসেন। যে সন্তানটি একদিন সবার চোখের মনি হিসেবে বড় হয়, স্বামী পরিত্যক্ত হলে সেই হয়ে উঠে সবার চোখের কাঁটা। নানা গঞ্জনার মধ্য দিয়েই সে কোন রকম একটা জীবন কাটিয়ে দেন। মা-বাবা জীবিত থাকলে কিছুটা ভাল থাকা হয়, না থাকলে তো ভয়াবহ জীবন। অথচ সেই নারীর ভাইটির অভাব হয় না, তার আয়ের সোর্স না থাকলেও বাবার সম্পত্তি দিয়ে সে দিব্যি কাটিয়ে দিতে পারে জীবন। অথচ একই মা-বাবার সন্তান হয়েও শুধুমাত্র মেয়ে হওয়ার কারণে পারিবারিক শিকার হয়ে মেয়েটি একটা নাজুক জীবন যাপন করে।
ব্যক্তিগত ভাবে আমার সম্পদের প্রয়োজন নেই। আমি চাই আমার বাবা বাকী তিন ভাই-বোনের মধ্যে সেই সম্পত্তি ভাগ করে দিক।
আরেকটি অবাক করার বিষয় যে ছেলেটা বলে, নারীর অধিকার কোথায় কম? তাদের ঘরে যে তাঁর বোনটি, তাঁর মেয়েটি বৈষম্যের শিকার সেই বিষয়টি নিয়ে আমাদের আদরের ভাই, বা প্রিয় বাবা কথা বলছেন না। উনারা আবার নিজেদের প্রগতিশীল দাবী করেন নিজেকে অনেকেই।
হিন্দু উত্তরাধিকার আইনে বাংলাদেশের হিন্দু নারীরা সীমিত অংশ হিসেবে সম্পত্তিতে শুধু জীবনস্বত্ব পেয়ে থাকে। নারীরা এ ধরনের সম্পত্তি ইচ্ছে করলেই হস্তান্তর করতে পারে না। বাংলাদেশে প্রচলিত দায়ভাগ আইন অনুযায়ী পাঁচ ধরনের সদস্য (বিধবা, অবিবাহিত কন্যা, মা, বাবার মা, বাবার বাবার মা) কথা বলা আছে। এ নারীরা ব্যতীত এ আইন অনুসারে অন্য কোনো নারী সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হিসেবে স্বীকৃত নয়। তারপরও একজন কন্যা সম্পত্তি পায় না এমনকি পুত্রের উপস্থিতিতে কোনো কন্যাসন্তান সম্পত্তিতে জীবনস্বত্বও পায় না। এটি স্পষ্টতই হিন্দু সম্প্রদায়ের নারী অধিকারের অন্তরায়।
এক্ষেত্রে প্রতিবেশী ভারতে ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতার পর থেকেই বেশ কিছু অভাবনীয় অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। ১৯৫৬ সালে দেশটিতে ‘হিন্দু উত্তরাধিকার আইন, ১৯৫৬’ প্রণীত হয়। নারীদের অর্জিত সকল প্রকার সম্পত্তিতে পূর্বে যেখানে তাদের সীমিত স্বার্থ ছিল, এ আইনের আওতায় সম্পত্তিতে বর্তমানে ছেলে-মেয়ে সমান অধিকার পাবে।
সেই সাথে, ১৯৫৫ সালে ভারতে নতুন বিবাহ আইন প্রচলিত হয়, যাতে বিবাহ পদ্ধতির আমূল পরিবর্তন ঘটে এবং বহুপত্নীর বিধান বিলুপ্ত হয়। বিবাহ-বিচ্ছেদ পদ্ধতিরও প্রবর্তন হয়। পিতা বা মাতার মৃত্যুর পর সম্পত্তিতে পুত্র-কন্যা উভয়ের সমান অংশ এবং স্ত্রী বা স্বামীর এক-তৃতীয়াংশ পাওনা স্বীকৃত হয়। ভারতের সকল হিন্দুর জন্য একই আইন কার্যকর হয়।
অথচ বাংলাদেশে সেই পুরনো হিন্দু আইন বলবৎ আছে, কোনো নড়চড় নেই।
সবচেয়ে অবাক করার বিষয় হলো, বাংলাদেশে মানবাধিকার সংগঠনগুলো সম্পত্তিতে নারীর সমান অধিকার এবং বিবাহ আইন সংস্কারের বিষয়টি যখনই প্রতিষ্ঠিত করতে চাইছে, তখনই কিছু হিন্দু নেতা তার বিরোধিতা করছে।
হিন্দু সম্প্রদায়ের একটি প্রভাবশালী সংগঠন বাংলাদেশ পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সুব্রত চৌধুরী বলেন, হিন্দু বিবাহ আইন প্রণয়নে ধর্মীয় দিক থেকে বাধা আছে বলে অনেকে মনে করেন।
তিনি বলেন, হিন্দু ধর্ম সনাতনী একটি ব্যবস্থা, যা বহু দিন ধরে চলে আসছে এবং এটি একেক অঞ্চলের একেক বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে দাঁড়িয়ে আছে। এই ভিত্তি খুবই মজবুত।
সুতরাং একে একটি আইনী কাঠামোর মধ্যে আনার মত পরিস্থিতি এখনো বাংলাদেশে বিরাজমান নয়।
ভারতে যেখানে হিন্দু আইনের আমূল পরিবর্তন করতে পেরেছে, বাংলাদেশে পারছে না। বাংলাদেশের সংবিধানে যদিও বলা আছে, ধর্ম, বর্ণ, গোষ্ঠী নির্বিশেষে সকল নাগরিকের সমান অধিকার কিন্তু বাস্তবে তা কার্যকর নয়।
বাংলাদেশ যদি রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম রেখে এই পরিবর্তন করতে যায় তবে ইসলামেও পারিবারিক সম্পত্তিতে নারীর সমান অধিকার নিশ্চিত করে এগুতে হবে।
তাই রাষ্ট্র যদি ধর্মের উপর ভিত্তি করে নীতিমালা প্রণয়ন করে, সেটা সকল নাগরিকের জীবন মান সমানভাবে নিশ্চিত করতে পারবে না।
তাই রাষ্ট্রের উচিত হবে, নাগরিক জীবনের সম-অধিকার নিশ্চিত করতে সংবিধানকে ধর্মমুক্ত করা।
পরিবারগুলো যে সকল গোঁড়ামির কারণে সন্তানদের সমান অধিকার নিশ্চিত করতে পারছে না, রাষ্ট্রের উচিত একটি সুষম নীতিমালায় সকল নাগরিকের জীবন পারিবারিক আইন মানতে বাধ্য করা।
সময় পরিবর্তনশীল, তাই সংস্কারও গুরুত্বপূর্ণ জীবনের জন্য। আমাদের বসবাসযোগ্য ঘরটিও একদিন প্রয়োজনে সংস্কার করতে হয়। রাজা রামমোহন না জন্মালে হয়তো হিন্দু নারীদের বেঁচে থাকাই হতো না স্বামীর মৃত্যুর পর। ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগর না জন্মালে হয়তো ছোট ছোট বিধবা মেয়েগুলোও জানতো না জীবন অনেক সুন্দর হতে পারে।
কালে কালে সমাজ সংস্কারক জন্মেছে বলেই আজকের নাগরিক জীবনের সভ্যতা অনেকখানি দাঁড়িয়েছে। পরিবার আর রাষ্ট্র যদি সেই দায়িত্বটুকু পালন করে, একটি দেশ এগিয়ে যায় কয়েক শতাব্দী।
ছোট ছোট শিশুরা একদিন বড় হয়ে পূর্ণ মানুষ হয়,
ছোট ছোট পরিবর্তনগুলো একদিন সভ্যতার মাপকাঠি হয়।
আসলে ব্যাপারটা যতটা না ধর্মীয়, তার চেয়ে বেশি রাজনৈতিক। মনু এসব আইন (তাই অন্তত বলা হয়) চালু করলেও তা করেছিলেন ধর্মীয় নেতা হিসেবে নয়, রাজা হিসেবে। আমরা তো এখনো অনেক আইনকেই ব্রিটিশ বা পাকিস্তানি আইন বলি, আর এর কারণ ওই শাসন ব্যবস্থার সময় এসব আইন হযেছিল বলে। আমার মনে হয় হিন্দু আইনের হিন্দুত্ব ওখানেই শেষ – এটা যতটা না ধর্ম, তার চেয়ে বেশি সেই সময়ের অর্থ সামাজিক অবস্থা। সম্পত্তি নিয়ে কোনো দিন মাথা ঘামায় নি, তাই ঠিক বলতে পারব না কি আছে আইনে। তবে যতদুর জানি আমাদের বাবারা চাইলে তাদের ইচ্ছে মত সম্পত্তি দান করে যেতে পারেন। আমাদের বাড়িতে ভাই-বন-মা – সবাই সম্পত্তির মালিকানা পেয়েছি বাবার কাছ থেকে, কেউ কোনো প্রশ্ন করে নি। তবে হয়ত কেউ দলিল করে যেতে না পারলে ঝামেলা হয়। বাংলাদেশে এখন বলা হয়ে থাকে ৮% হিন্দু, এটা ১৬ কোটির দেশে প্রায় ১ কোটি ৩০ লক্ষ। তাই আমাদের সর্কাক্রেরী উচিত দেশের ৬৫ লক্ষ নাগরিকের (হিন্দু মেয়েদের) সংবিধানিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করার ব্যবস্থা করা। তবে যে সরকার বা যে দেশ নারী-পুরুষ নির্বিশেষে কোনো হিন্দুরই অধিকার রক্ষা করতে পারে না – তারা ভোটের কথা চিন্তা করে হিন্দু আইন পরিবর্তন করবে বলে মনে হয় না। তবে ওই আইন যে কোনো বাধায় নয় – ভারত তার প্রমান করেছে – আর ভারতের দৃষ্টান্ত দিয়েই বাংলাদেশ এটা করতে পারে। আর ইটা করতে পারলে শুধু হিন্দু নারীদেরই নয়, হিন্দু সমাজের অনেক সমস্যিয়ার সমাধান হবে।
http://bijansahawhispers.blogspot.ru/2014/05/blog-post_2050.html
Emotion to forget myself