পুরুষরা মানবিক হলেই আন্দোলন লাগে না আর

শাহাদাত রাসএল: রাস্তায় চলতে ফিরতে অনেকসময়ই শাহাবাগ, প্রেসক্লাবের সামনে দেখি কিছু নারী অধিকারের জন্য, নারী নিপীড়ন বন্ধের দাবীতে প্রতিবাদ সভা করছে। মাঝে মাঝে আমিও বাধ্য হয়ে শামিল হই তাদের প্রতিবাদ সভায়। খুব অনিচ্ছায় সামিল হই। কেননা আমি নারী অধিকার বা নারীবাদী আন্দোলনের ঘোর বিরোধী।

Tea Worker 2আমি চাইনা কোন নারী তার অধিকারের জন্য দিনের পর দিন রাস্তায় আন্দোলন করুক, কেননা মানুষের জীবনটা খুবই সংক্ষিপ্ত। এই সংক্ষিপ্ত জীবন কেউ আনন্দ উপভোগের পরিবর্তে আন্দোলনের মতো একটা অপ্রয়োজনীয় কাজে অপচয় করুক সেটা আমি চাইনা।

আমি চাই এই আন্দোলনের সময়টা একজন নারী বরং তার পরিবারের সাথে আড্ডা দিক, এই সাপ্তাহিক বন্ধের দিনটা সে আর তার স্বামী দুজনে মিলে বাচ্চাদের জন্য বাসায় পিৎজা বা বার্গার বানাক, সেই পিৎজা হয়তো পিৎজা হাটের পিৎজার মতো সুস্বাদু হবেনা, তবুও বানাক । এই সময়টা সে স্কাই ডাভিং শিখুক, সে এক অন্যরকম আনন্দ। এই সময়টা সে বন্ধুদের সাথে আড্ডায় মাতুক, কফির মগ বারবার খালি হয়ে যাক। এই সময়টা একজন নারী পাবলিক লাইব্রেরীতে মাহিদুল ইসলাম বা শিমুল মুস্তফার কবিতা শুনুক। এই সময়টা একজন নারী হলে গিয়ে দেখে আসুক একটা সিনেমা। এই সময়টা সে পার্কে একা একা হাঁটুক কিছুক্ষণ, যদি পার্কের উদাসী বাতাস তাকে উস্কানি দেয় তবে সে লিখে ফেলুক তার ফেলে আসা প্রেমের কবিতা। সে এই সময়ে আরেকবার পড়ে ফেলতে পারে রক্তকরবী। এই সময়টা সে তার সন্তানকে মুক্তিযুদ্ধের গল্প শোনাক।

এই সময়টা সে অনেক কিছু করতে পারে, আর কোন কাজ খুজে না পেলে সিডি প্লেয়ারে মৃদু আওয়াজে রবীন্দ্র সংগীত ছেড়ে বারান্দার রিভলভিং চেয়ারটায় বসে দুলুক কিছুক্ষণ।

কিন্তু আমি জানি তারা এসব কিছু করবে না। আমি যে কারণে বাধ্য হয়ে নারী নিপীড়ন বিরোধী আন্দোলনে শামিল হই, সেই একই বাধ্যবাধকতায় তারাও রোদে পুড়ে শামিল হবে এসব অশ্লীল (এটা ঠিক ওই অর্থে বলিনি) আন্দোলনে।

অথচ পুরুষগুলো যদি মানুষ হতো, মানবিক হতো, তবে কাঙ্ক্ষিত সময়গুলো আসতো। নারীরা জীবনটাকে যাপন করার পরিবর্তে জীবন উদযাপন করতে পারতো। আর সেদিন নিশ্চয়ই নারীরা তাদের আনন্দযজ্ঞে সম্মানিত সহযাত্রী ও বন্ধু হিসেবে আমাদেরকেও নিমন্ত্রণ করতো আনন্দিত চিত্তে।

শেয়ার করুন:

ইসলামই কিন্তু ধর্ষকদেরকে বাঁচাতে সাহায্য করে । কারন ধর্ষন হলে দুনিয়ার সব ধর্মের সব দেশের মানুষ যখন নির্দিধায় ধর্ষকের বিচার দাবী করে তখন একমাত্র মুসলমানরাই ধর্ষন হবার পর নারী বোরকা পরেনি কেন ? পর্দা করেনি কেন ? বেপর্দা হলে ধর্ষন হবেই, নারী হচ্ছে তেঁতুল খোলা রাখলে তো লালা ঝরবেই, টাইপ দোহাই দিয়ে ধর্ষনকে বৈধতা দিতে চায়, ধর্ষককে বাঁচাতে চায় । দুনিয়াতে সবচেয়ে বেশী ধর্ষক সৃষ্টি করেছে ইসলাম । ধর্ষককে রক্ষা করেছে ইসলাম । আপনার আল্লাহ আপনার কাছে রাখুন, আপনার ধর্ম আপনার কাছে রাখুন । আগে মানুষ হোন তারপর দুনিয়ার সব মানুষকে মানুষ হিসেবে দেখতে শিখুন । আরেকজন নারীকে আপনার ধর্ম অনুযায়ী চলতে বলার বা চলতে বাধ্য করার কিংবা আপনাদের ধর্ম অনুযায়ী না চললে ধর্ষন করার অধিকার কে দিয়েছে ? আপনারা দুনিয়ার বাপ মা হলেন কবে থেকে ? দুনিয়ায় মুসলমান ইসলাম ছারাও ৪২০০ ধর্ম আছে। এখন আপনাদের ইসলামের ইচ্ছে মতো চলতে হবে বাকি চার হাজার ১৯ ধর্মের মানুষকে ? আপনারা কি বোঝেন না যে আপনারা দুনিয়ার সবচেয়ে অসভ্য বর্বর প্রজাতি ?

মি. শাহাদাত রাসেল হয় আপনি একটা শিক্ষিত বোকাচদা নাহলে ছুপা মালুয়ান । আপনার গবেশনার জন্য আপনাকে মেথর পট্টি পায়খানা তলা বেশ্বা বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করা হোল ।

দেখলেন তো আপনার ধর্ম আপনাকে কি শিক্ষা দিয়েছে । আপনার আচরণ দিয়েই আমি আপনার ধর্মকে বিচার করি । আপনার ধর্মই বলে নারীরা তো আপনাদের শস্যক্ষেত্র। তাই আপনারা যে ধর্ষক হবেন আর ধর্ষকের পক্ষে কথা বলবেন সেটাই স্বাভাবিক। আদিম গুহা থেকে জন্ম নেয়া ধর্ম বলে কথা।

একজন তনুর চলে যাওয়া আমাদের সকলের মন কে ব্যাথিত করেছ… অনেকে ফেসবুকে আবার অনেকে রাস্তায় গিয়ে প্রতিবাদ করছে…।একটা সময় পর যে যার জীবন নিয়ে বাস্ত হয়ে যাবে…আবার নতুন কেউ ধর্ষিত হবে আবার সবাই কিছু সময় এর জন্য ফুঁসে উঠবে…। ।এমন ই ত ঘটে আসছে… কোন সমাধান আসছে না…কেন?প্রতিবাদ দিয়ে আর দেশের চলমান আইন দিয়ে যে কিছু হয় নি ,হবেও না তাই প্রমান হচ্ছে…অনেকে সুজগ বুঝে আবার ইসলাম কে টেনে আনছে … বলছে ইসলামি ড্রেস কোেডই যদি কায হত তো আর এমন ……… । ইসলাম কে ভলভাবে জানুন আগে…।এই সব সমস্যার সমাধান আল্লাহ পাক কত সুন্দর ভাবে দিয়ে দিয়েছেন যা অন্য কোন পথেই সম্ভব না…
১। মুমিনদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি নত রাখে এবং তাদের যৌনাঙ্গর হেফাযত করে। এতে তাদের জন্য খুব পবিত্রতা আছে।
২।ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের যৌন অঙ্গের হেফাযত করে।

৩।আর একটি বিষয় হল মাহারাম(বাবা,ভাই,ছেলে, স্বামী কে নিয়ে রাতে বাইরে বের হওয়া।
8।তার পরও কোন নারীর সাথে জোর করে অন্যায় করলে তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড যা
সর্বচ্চ শাস্তি নয় একমাত্র শাস্তি।
দেখুন তো কতো স্পষ্ট ভাবে ছেলেদের চারিত্রিক পবিত্রতা অবলম্বন করার কথা বলা হচ্ছে। আল কোরানের প্রতিটি বিষয় যদি পালিত হত তবে আর এমন ঘটনা ঘটতো না… আপনি তর্কের খাতিরে হয়ত যুক্তি দিতে পারবেন কিন্তু একবার নিজের মনে আল্লাহর দেওয়া সমাধান গুলো ভেবে দেখুন …কতটা ফলপ্রসূ…। তিনি তার সৃষ্টির কল্যাণ যতটা চান না তো তার থেকে বেশি আর কে চান? নারীবাদীরা? না মুক্তমনা ?না কি প্রগতিশীলরা ? তাদের অনেকে ই এমন ঘটনা কে পুঁজি করে নিজের লেখা পোস্ট করে নিজেদের প্রচার করে বেড়ান, ভালোমানুষিকে প্রচার করে বেড়ান। আর বলেন ইসলাম আমাদের সমাধান নয়…বাধা…! তবে আমি বলব আপনাদের এমন আচারন ই এইসব ঘটনা রোধের পথের বাধা… তার দায় ভার নেবেন কি?

পৃথিবীর জন্মলগ্ন থেকেই নারী পুরুষের ভেদাভেদে কুলষিত মনুষ্য সমাজ। এর জন্য নারীরা দায়ী করেছেন পুরুষ পরিচালিত সমাজব্যবস্থা। আবার পুরুষরা বলেছেন, “নারীই নারী উন্নতির অন্তরায়”। মোদ্দা কথা, নারী পুরুষ উভয়েই স্বযত্নে এড়িয়ে গেছেন নিজস্ব দূর্বলতা। তাছাড়া, নারী আন্দোলন করে নারীরা নিজেই নিজেদের আন্দোলন থেকে পুরুষদেরকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলছে। তাঁরা মনে করছে এইটা শুধু নারীদের আন্দোলন। যে পুরুষ শাষিত সমাজের বিরুদ্ধে এই আন্দোলন, সেই পুরুষকে সাথে নিয়েই সহজলভ্য হতে পারে পরিবর্তন।
অগ্রাধিকার কিংবা সমঅধিকার নয়, আন্দোলন হয়ে উঠুক নিজস্ব অধিকার আদায়ের। আন্দোলন হোক মনুষত্বের। এই আন্দোলন কোনো পুরুষের বিরুদ্ধে কোনো নারীর নয়, এই আন্দোলন কুসংস্কারাচ্ছন্ন সমাজের বিরুদ্ধে মনুষ্যত্বের। পুরুষেরও উচিত এ ক্ষেত্রে এগিয়ে আসা। ভুলে গেলে চলবে না, নারীপুরুষ ভেদাভেদের আগে আমাদের পুর্ব পরিচয় আমরা সবাই মানুষ। তাই মনুষত্বের দাবিতেই পুরুষের উচিত যুগ যুগ ধরে অবহেলিত নারী জাতির পাশে দাঁড়িয়ে, মনুষত্বের অধিকার- তথা নারীর অধিকার আদায়ে অগ্রনী ভুমিকা পালন করে চীরকলংকিত অপবাদ থেকে নিজেকে মুক্ত করা।

Copy Protected by Chetan's WP-Copyprotect.