এই অনিশ্চয়তায় কী জীবন চলে!

pahariউইমেন চ্যাপ্টার: সকালেই খাগড়াছড়ি থেকে একজন শিক্ষার্থী জানালো, সেখানে আবার অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়েছে। কারণ কী? তার ভাষায়, খাগড়াছড়ির তেতুলতলা রাবার বাগানে (রোয়াসোয়া পাড়া) অবৈধ বসতি স্থাপনের জন্য দুটি জীপগাড়ি যোগে সেটলার বাঙালিরা গেছে। এলাকায় অবস্থানরত পাহাড়িরা খাগড়াছড়ি তথা সকলের কাছে সহযোগিতা কামনা করছে। যে কোনো মূহূর্তে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে।

জিজ্ঞাসা করি, প্রশাসনকে জানানো হয়েছে? ছেলেটি উত্তর দেয়, হ্যাঁ। এখন ত্রিপাক্ষিক আলোচনা চলছে।ফোনে নিশ্চিত করলাম। একটু পরই সে জানায়, আদিবাসীদের প্রতিরোধের মুখে পড়ে সেটলার বাঙালিরা ফিরে গেছে। তবে পরিস্থিতি এখনও থমথমে বিরাজ করছে। স্থানীয়দের সাথে মেয়রের বৈঠক চলছে।

আদিবাসী এক ব্লগস্পট থেকে জানলাম বিস্তারিত। আজ সকাল বেলা আনুমানিক ৮ টার দিকে। খাগড়াছড়ি সদরস্থ তেতুলতলা রাবার বাগান এলাকায় অবৈধ স্থাপনের জন্য দুই জীপ গাড়ি সেটেলার বাঙালি যায়। পরে এলাকাবাসী খবর পেয়ে তা প্রতিহত করার চেষ্টা করে। 

অবৈধ অবৈধ!

আজ ছিল খাগড়াছড়ি বাজার হাটের দিন। খাগড়াছড়ি বাজারে সপ্তাহে দুই দিন হাট বাজার বসে। আজ বৃহস্পতিবার মুল হাটবাজার। তাই বাজারে অনেক আদিবাসী আজ আসছেন বা আসবেন। কিন্তু এই ঘটনায় সবার মনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তাদের মনে এখনও একুশে ফেব্রুয়ারির ঘটনা, মাটিরাংগা, তাইন্দংয়ের মত পরিবেশের আতংক। ফলে এই পরিস্থিতিতে অনেকে হাট বাজার না করে চলে যান।

শেষ খবর পাওয়া পর্তাযন্ত খাগড়াছড়ি সদরের যতগুলো আদিবাসী পাড়া আছে তারা সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বলে জানা গেছে। এসব খবর পড়ে মনে একটাই প্রশ্ন জাগে, প্রতিনিয়ত এরকম আশংকার মধ্যে মানুষজন বাস করে কী করে? প্রতিনিয়ত উচ্ছেদের আতংক, মানবিক-নাগরিক সবরকম সুবিধা থেকে বঞ্চিত এসব জনগণ নিজেদের এই দেশেরও ভাবতে পারছেন না আজ। এই ব্যর্থতা তাহলে কাদের? নিশ্চয়ই ক্ষমতাসীন সরকারের!

 

শেয়ার করুন:
Copy Protected by Chetan's WP-Copyprotect.