উইমেন চ্যাপ্টার: ছবিগুলোর দিকে তাকান। এ ছবি কোনো চলচ্চিত্রের নয়, কোনো নাটকেরও নয়। এ ছবি শত বছরের পুরোন কোন বিদ্রোহী জনপদের জেগে ওঠা মানুষেরও নয়। এ ছবি চিরন্তন বিদ্রোহী বাংলার। এমন ছবি এই সময়ের। অবিশ্বাস্য মনে হচ্ছে ! হতেই পারে, সেটাই স্বাভাবিক। কারণ এই দ্রোহ ঐ বুক চিতিয়ে রুখে দাঁড়ানো রূপ আমাদের বিপ্লবী মিডিয়া বেমালুম হজম করে বসে অাছে। বিস্ময়কর এই গণজাগরণের কোনো খবর, ছবি কোথাও নেই। না টিভিতে,না বড় কোনো বাংলা পত্রিকায়।
আমরা যেন ভুলে না যাই, কালো টাকা আর লুটেরা বণিকদের বাগানে জন্ম নেয়া মিডিয়া এমনটাই করবে আবার এরাই বস্তুনিষ্ঠতা,সততা,দেশপ্রেমের ধ্বজা তুলে নাচবে !!!
ঘটনাটা আসলে কী? ১২৫ বছর আগে হবিগঞ্জের চাদপুর, রামগঙ্গা আর বেগম খান চা বাগানের পতিত জঙ্গলময় জমি কেটে আবাদযোগ্য করেছেন, চা বাগানের প্রান্তিক শ্রমিক ও তাদের পূর্বপূরুষ,ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী: রাজবংশী, সাঁওতাল, মাঝি, রবিদাশ, ওরাওঁ সম্প্রদায় মানুষেরা। কয়েক প্রজন্ম ধরে ধান চাষ করছেন এ জমিতে। এখন বলা হচ্ছে সে জমি তাদের নয়। কাগজে কলমে সে ধানী জমি ডানকান ব্রাদার্সের কাছে লিজ দেয়া হয়েছে। সে জমিতে স্পেশাল ইকনোমিক জোন (এসইজেড) হবে।
কয়েক প্রজন্ম ধরে চাষাবাদ করা জমির অধিকার তারা ছাড়বেন না। তাই তারা প্রতিরোধে নেমেছেন, ধর্মঘট শুরু করেছেন, শ্লোগান তুলেছেন-“আমার মাটি আমার মা, কেড়ে নিতে দেব না”।
তথ্যসূত্র: বণিক বার্তা, ডেইলি স্টার । ছবি: ডেইলি স্টার