সুমন্দভাষিণী: খবরে জানলাম, মালয়েশিয়ায় পর্যটকরা পাহাড়ের উপর উঠে নগ্ন হওয়ায় নাকি ভূমিকম্প হয়েছে! সেই দেশের সরকারও এই তত্ত্ব মেনে নিয়ে পাঁচজন পর্যটককে বিচারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর আগে এইদেশেই কোনো এক আলেম ফতোয়া দিয়েছিলেন এই বলে যে, মেয়েরা জিন্সের লুঙ্গি (এই বস্ত্রটি আসলে কী, বুঝতে পারিনি) পরে বলেই ভূমিকম্প হয়।
বাহ, চমৎকার সব যুক্তি। সব দোষ ওই কাপড় খোলার এবং সুন্নত (?) মতোন কাপড় না পরা। কী মুশকিল!
এই যুগে এসেও আমাদের এসব তত্ত্ববাক্য শুনতে হয়, এবং আবাল জনতার কিছু অংশ তা চোখ বন্ধ করেই বিশ্বাস করে বলেই আমার ধারণা।
এ নিয়ে অনলাইনে বেশ রসিকতাও চলছে। কেউ কেউ বলছেন, জিন্সের লুঙ্গি পরে মেয়েরা পা ফাঁক করে দাঁড়ালে তাতে মাটিতে কম্পন উঠে, সেই কম্পন একসময় তীব্র আকার নেয় এবং ভূমিকম্পের সৃষ্টি হয়। হা হা হা। যুক্তি বটে!
আমরা মেয়েরা কী পোশাক পরবো, পেট দেখিয়ে শাড়ি পরবো, নাকি ওড়না কাঁধে ফেলে চলবো, নাকি জিন্স-টি-শার্ট পরবো, সবই নির্ধারণ করে দেবে অন্য কেউ? আর তার জন্য এতোদিন দেওয়া ফতোয়া কোনো কাজে আসেনি, মেয়েরা কিছুতেই মানতে চাইছে না যতোই ধর্মের নামে ভয় দেখানো হোক না কেন, এখন শুরু হয়েছে নতুন ফতোয়া। কার এমন গোবর মস্তিষ্ক থেকে এই ধারণা প্রসূত হলো যে, ভূমিকম্পের কারণ এই পোশাক? এবং সেটা নিউজ হচ্ছে দিব্যি!
এসব ফতোয়া যারা দিচ্ছে এবং যারা তাদের প্রমোট করছে, সবাইকে ধরে চাবকানো দরকার। ওদেরকে ন্যাংটা করে দেখা দরকার, ভূমিকম্প হয় কীনা!
আর এইসব ধর্মীয় তত্ত্বদানকারীদেরও এখন পদে পদে বয়কট করা দরকার। প্রয়োজনে কৌশলী হতে হবে। এরা বেশি বাড় বেড়েছে, এদের ডালপালা এখন অনেকদূর পর্যন্ত বিস্তৃত হয়ে গেছে। সেগুলো ছাঁটাই করতে হবে।