উইমেন চ্যাপ্টার: কানাডার সাস্কাটুন শহরের বাংলাদেশী অভিবাসী জেবুননেসা চপলা কম্যুনিটি রেডিওর মাধ্যমে অভিবাসী বিশেষ করে বাঙালিদের জীবন সংগ্রাম, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে তুলে ধরার স্বীকৃতি হিসেবে সম্মাননা পেলেন কানাডিয়ান ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন (সিবিসি) এর পক্ষ থেকে।
সম্প্রতি সাসকাচুয়ান প্রভিন্সের নতুন প্রজন্মের ৪০ বছরের কম বয়সী ৪০ জন কমিউনিটি নেতা, সংগঠক এবং শিল্পীদের সঙ্গে তাকেও সিবিসি সাসকাচওয়ান ফিউচার ৪০ শীর্ষক সম্মাননা দেয়া হয়।
জেবুননেসা চপলা জানান, বিভিন্ন সৃজনশীল সামাজিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে যারা নিজেদের জীবনকে উৎসর্গ করেছেন এবং নিজ নিজ কাজের ক্ষেত্রে সামাজিক পরিবর্তন সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছেন, তাদেরকে গত ২৭ মার্চ সাস্কাটুন শহরের রাজধানী রেজিনা সিবিসি ভবনে এক আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই সম্মাননা দেয়া হয়।
সংগ্রামী চপলা ঘরোয়া সঙ্গীত ও নাচের মাধ্যমে কোমলমতি শিশুদের নিজস্ব সংস্কৃতিকে ধারন করে এগিয়ে যেতেও শেখাচ্ছেন। শুধু তা-ই নয় বিদেশি সংস্কৃতির সান্নিধ্য যে নিজের সংস্কৃতি এবং জীবন ব্যবস্থাকে সমৃদ্ধ করতে পারে সে বিষয়েও তিনি প্রায় এক যুগ ধরে কাজ করে যাচ্ছেন। দীর্ঘ প্রবাস জীবনে কখনো উচ্চ শিক্ষার জন্য, আবার কখনো বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থায় কাজ করার সুবাদে সুইডেন , নরওয়ে, নিউ জার্সি, নিউ ইয়র্ক, টরন্টো এবং কানাডার সাস্কাটুন শহরে ঘুরে বেড়িয়েছেন। গড়ে তুলেছেন কম্যুনিটির সঙ্গে আত্মার সম্পর্ক।
সামাজিক উন্নয়নে অবদানের জন্য তাকে এই সম্মাননা জানানো হয়েছে জানিয়ে চপলা বলেন, নিরেপক্ষ বিচারকরা তিন শতাধিক নির্বাচিত প্রতিযোগীর মধ্য থেকে ৪০ জনকে চুড়ান্তভাবে নির্বাচিত করেন। এই ৪০ জন সাসকাচুয়ানের কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন এবং ভবিষ্যতেও রাখবেন।
চপলা ইউনিভার্সিটি অব সাসকাচুয়ানের নারী, জেন্ডার এবং সেক্সচুয়ালিটিস বিষয়ে ডক্টরেট করছেন। তিনি একাধারে নারী ও অভিবাসী বিষয়ক গবেষক, একনিষ্ঠ সাংস্কৃতিক কর্মী , গায়িকা, বাংলা রেডিও অনুষ্ঠান বাংলার গান ও কথা অনুষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা। দুই সন্তানের মা চপলা বাঙালিদের জন্য এই বিরল সম্মান এনে দিয়েছেন কমিউনিটি লিডারশিপ, সোশ্যাল একটিভিজম এবং ভলান্টিয়ারিসম ক্যাটাগরিতে। সাস্কাটুন শহরে মাত্র ১০ জন ব্যাক্তি এই সম্মাননা অর্জন করেছেন যাদের মধ্যে চপলা হচ্ছেন প্রথম বাংলাদেশী যিনি এই বিরল সম্মানে ভূষিত হলেন।
চপলার বিশ্বাস, তার এই আন্তর্জাতিক পর্যায়ের স্বীকৃতি বাঙালিদের অনুপ্রাণিত করবে এবং তার চ্যালেঞ্জিং কাজের ক্ষেত্রগুলোকে সহজ করে তুলবে।