উইমেন চ্যাপ্টার: একের পর এক ধর্ষণের ঘটনা বিপর্যস্ত করে তুলেছে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির চরিত্র। আবারো ট্যাক্সিচালকের ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক কর্মজীবী। গত চার মাসে দিল্লিতে দ্বিতীয়বারের মতো এ ধরনের ঘটনা ঘটল। পুলিশ রমেশ কুমার (৩৮) নামের ওই ট্যাক্সিচালককে গ্রেফতার করেছে।
টাইমস অব ইন্ডিয়া জানায়, পশ্চিম দিল্লির রাজৌরি গার্ডেন নামে একটি শপিং মলের এক কর্মী গত বৃহস্পতিবার রাতে পশ্চিম দিল্লির দ্বারকা এলাকায় এ ঘটনার শিকার হন। ঘটনার সময় মাত্র ৭৫ মিটার দূরে পুলিশের একটি দল টহল দিচ্ছিল।
দিল্লি পুলিশের উপ-কমিশনার আর এ সঞ্জিব জানান, রাত সাড়ে ১০টার দিকে ওই নারী দিল্লির মেট্রো স্টেশন থেকে বাসায় যাওয়ার জন্য ট্যাক্সিক্যাবটি ভাড়া করেন। রমেশ আরেক যাত্রীকে ট্যাক্সিতে উঠানোর পর রাজাপুরি এলাকায় তাকে নামিয়ে দেন। পরে সিএনজি গ্যাস নেওয়ার নাম করে নির্জন স্থানে নিয়ে ওই নারীকে নিয়ে ধর্ষণ করেন রমেশ। এ সময় পাশ দিয়ে যাওয়া আরেক ট্যাক্সিচালক ওই নারীর চিৎকার শুনে পুলিশের টহল দলকে জানান। পুলিশ ঘটনাস্থলে আসার পর পরই রমেশ ওই নারীসহ ট্যাক্সি নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। ধাওয়া করে পুলিশ তাকে আটক করে।
গত ৫ ডিসেম্বর স্মার্ট ফোনে ট্যাক্সি ভাড়া করে বাসায় ফেরার চালকের ধর্ষণের শিকার হন আরেক নারী। এর আগে ২০১২ সালের ডিসেম্বরে দিল্লিতে চলন্ত বাসে ২৩ বছর বয়সী এক মেডিকেল ছাত্রীকে ধর্ষণের পর বাস থেকে ফেলে দেয়া হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই তরুণীকে চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে নেওয়া হলেও তাকে বাঁচানো যায়নি।
এ ঘটনায় ভারতজুড়ে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয় এবং বিক্ষোভের মুখে যৌন নির্যাতন ও ধর্ষণের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে নতুন আইন পাস করে ভারত সরকার।