উইমেন চ্যাপ্টার: ব্রিটেনের এক মেডিকেল ছাত্রী আইএস জিহাদিদের চিকিৎসা দিতে স্বেচ্ছায় দেশ ছেড়ে এলেও এখন দেশে ফেরার অপেক্ষায় ব্যাকুল হয়ে আছেন। তুরস্কের একজন কর্মকর্তা খবরটি নিশ্চিত করে বলেছেন, ১৯ বছরের তরুণী লেনা মামুন আবদেলগাদির ফ্রান্সে শার্লি অ্যাব্দোতে হামলার ঘটনাকে সমর্থন জানিয়েই দেশ ছেড়ে এসেছিলেন। সেই তরুণী এখন তার পরিবারকে চিঠি পাঠিয়েছে বাড়ি ফেরার ইচ্ছার কথা জানিয়ে।
ব্রিটেনের নরফল্কে বড় হওয়া লেনা আরও নয়জন মেডিকেল শিক্ষার্থীর সাথে সিরিয়ায় এসেছিলেন আইসিসকে চিকিৎসা সহায়তা দিতে। তার বাবা কনসালটেন্ট অর্থোপেডিক সার্জন।
তুরস্কের একজন সিনিয়র রাজনীতিক রয়টার্সকে বলেছেন, ‘লেনা তার পরিবারের কাছে চিঠি লিখে ফেরত যাওয়ার কথা জানিয়েছেন। আমরা চেষ্টা করছি লেনা এবং তার গ্রুপের অন্য সদস্যদের বুঝিয়ে-শুনিয়ে ফেরত পাঠাতে’।
এই লেনাই একসময় শার্লি অ্যাব্দোর হামলার ব্যাপক প্রশংসা করেছিলেন। তিনি একাধিক টুইটে লিখেছেন, ওই ম্যাগাজিনে নবীকে ব্যাঙ্গ করে যে ছবি আঁকা হয়েছে, তা ওই হত্যাকাণ্ডের চেয়েও ভয়াবহ।
তার সাথে যে নয়জন ছিলেন তাদের মধ্যে একজন কানাডার এবং একজন আমেরিকানও আছে। এদের সবার বয়স ১৯ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে। এদিকে লেনা বাবা-মা তুরস্কে পৌঁছেছেন এবং সীমান্তে অপেক্ষা করে আছেন যেকোনো খবর পাওয়ার আশায়।
এদিকে তুরস্ক সীমান্তে নিরাপত্তাহীনতার কারণে ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে ব্রিটেনে। এরই সুযোগে ব্যাপক সংখ্যক তরুণ-তরুণী জিহাদি গ্রুপে যোগ দিচ্ছে। এর আগে লন্ডনের একটি স্কুলের তিনজন ছাত্রী, যাদের বয়স ১৫ থেকে ১৬ বছর, তারা তুরস্ক হয়ে সিরিয়ায় চলে আসে আইএস এ যোগ দিতে এবং জিহাদিদের বিয়ে করতে।